তজুমদ্দিন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
তজুমদ্দিনের মলংচরা ইউনিয়নের চর জহির উদ্দিনে স্মার্ট ভোটার এনআইডি কার্ড বিতরণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাথে সাথে স্থানীয় ভোটাররা বিতরণ কেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।
সুত্রে জানা গেছে, ২১ এপ্রিল হতে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরজহির উদ্দিনের সোনাপুর ও মলংচরা ইউনিয়নের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরন শুরু হয়। বিতরনের শেষদিন শনিবার সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মলংচরা মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে উপজেলার মলংচরা ইউনিয়নের স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ করা হয়।
স্মার্ট আইডি নেয়ার জন্য পুরাতন এনআইডি জমা দিতে হয়। আর যাদের মুল এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেছে তাদের স্মার্ট আইডি নেয়ার ক্ষেত্র ৩৫৩ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার ভিত্তিতে পুরাতন কার্ড দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এ-ই সুযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মিরা সবার কাছ থেকেই টাকা দাবী করছেন। এছাড়াও কার্ড বিতরণকালে দায়িত্বরত স্টাফরা বিভিন্ন অজুহাতে সাধারন মানুষের কাছ থেকে কোন রিসিট ছাড়াই ৩শ থেকে ৫শ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক মানুষ কার্ড নিতে আসলে দাবীকৃত টাকার জন্য কার্ড দেয়া হয়নি বলেও জানান অনেকে।
মলংচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রহিমা বেগম জানান, পুরাতন এনআইডি মূল কপি জমা দিলে আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বলে আপনার কার্ড আসে নাই। তজুমুদ্দিন অফিসে যোগাযোগ করেন। রহিমা আরো অভিযোগ করেন, তার স্বামী ও ননদসহ পরিবারের আরও চারটি এনআইডি কার্ডের জন্য ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা করে আদায় করেন আব্দুল হালিম নামের এক স্টাফ।
১নং ওয়ার্ডের মাইন উদ্দিন জানান, স্মার্ট কার্ড নিতে আসলে আগের এনআইডি কার্ড জমা দিলেও আমার কাছ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করেন। কিসের টাকা তা জানতে চাইলে বলে আপনার কার্ডে সমস্যা আছে। ঠিক করতে টাকা লাগবে।
৪নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আব্বাস জানান, তার স্ত্রী জেসমিন বেগম এর কাছ থেকেও একই অজুহাত দেখিয়ে ৩০০ টাকা আদায় করেছে নির্বাচন অফিসের লোকজন।
স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণকারী আব্দুল হালিম নামে নির্বাচন অফিসের এক কর্মী জানান, যাদের আগের মুল কার্ড হারিয়েছে, শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। অন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমির খশরু গাজী জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। তাছাড়া পুরাতন আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে সেখানে ৩৫০ টাকার মতো একটি সরকারি ফি রয়েছে। অনেকেই এই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি কিন্তু আমরা মানবিক কারণে তাদেরকে কার্ড দিয়েছি।
আরএস/এমআর