দুর্গন্ধে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা তজুমদ্দিনে মাদ্রাসার মাঠে মহিষের খোয়াড়

প্রথম পাতা » ভোলা » দুর্গন্ধে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা তজুমদ্দিনে মাদ্রাসার মাঠে মহিষের খোয়াড়
সোমবার ● ৪ এপ্রিল ২০২২


---

তজুমদ্দিন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার তজুমদ্দিনে খোশনদী দাখিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গনেই মহিষের খোয়াড়! দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে অনেক শিক্ষার্থী বহুদিন ধরেই শ্রেণী কক্ষে উপস্থিত নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে মহিষের মালিককে বলার পরও খোয়াড় স্থানান্তর না করায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা জানান, দ্বিতীয়বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেওয়ানপুর গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। ২০১০ সালে ওই গ্রামের একাধিক দাতার জমিতে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২০ সালে মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মান হয়। ওউ ভবনের সামনের ৮ শতাংশ জমির মালীক স্থানীয় মোঃ নুরুল হক। সেই জমিতেই তিনি গড়ে তুলেছেন তার ৮-১০ টি মহিষের জন্য খোয়াড়। প্রতিদিন এসব মহিষের মলমুত্র ও আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় চতুর্দিকে। আশেপাশের বসতি মানুষজনও ভোগান্তির শিকার মহিষের খোয়াড়ের দুর্গন্ধের কারনে। অভিযোগ রয়েছে, এমন পরিবেশের কারনে প্রতিষ্ঠানে এ বছর কোন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র চলেও গেছে।

নাম গোপন রাখার শর্তে মাদ্রাসার এক কর্মচারী জানান, উক্ত জমি মাদ্রাসার জন্য ক্রয় করতে চাইলেও নুরুল হক বিক্রি না করে বরং সেখানে মহিষের খোয়াড় করেন। করোনাকালীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে কেউ বাধা দেয়নি। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর নতুন ভবনে ক্লাস হস্তান্তর হলে তাকে মহিষের খোয়াড় সরানোর জন্য বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এতে তিনি প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করেন, পরে অন্যত্র জমি কিনে দেয়ার শর্ত দেন।

প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক মনোয়ারা বেগম জানান, প্রতিদিন মহিষের মল-মুত্রের দুর্গন্ধে অতিষ্ট ছেলে মেয়েরা। এখানে ক্লাস করাই দুস্কর। অনেকে অসুস্থ  হয়ে হাঁপানী সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক ছাত্র ছাত্রী দুর্গন্ধের কারনে ক্লাসে আসে না।

স্থানীয়রা জানান, খোয়াড়ের দুষিত বর্জ্যে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবানু। বারবার মহিষের মালীককে বলার পরও সে নিয়মিত আঙিনা পরিস্কার করছে না। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুইদিন আগে শ্রমিক দিয়ে এসব গোবর পরিস্কার করেছে।

এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সুপার মাওলানা রফিকুল ইসলাম জানান, এ-ই কারনে প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বারবার জমির মালীককে খোয়াড় সরানোর জন্য বললেও তিনি তা শুনছেন না। অন্যত্র জমি কিনে দেয়ার শর্ত দেয় সে।
ইউএনও মরিয়ম বেগম জানান জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। এখন খোজ খবর নিয়ে দেখছি। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি এমন কোন কিছুই থাকতে পারবে না যা শ্রেনি কক্ষে পাঠদানের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৭:৫৪ ● ১৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ