আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমতলী উপজেলার সোনাউডা গ্রামের শিশু নারীসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম, ঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরের মালিক আহত আলাউদ্দিন মীর এমন অভিযোগ করেন। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে। রবিবার দুপুরে আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সোনাউডা গ্রামের আলাউদ্দিন ও প্রতিবেশী মন্নান হাওলাদারের সাথে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার গভীর রাতে মন্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে জাকির প্যাদা, সোবাহান ও আবুল হাসানসহ ৭০-৮০ জন ভাড়াটে মুখোশধারী সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলাউদ্দিনের বাড়ীতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার ঘর ভাচুর, নগদ টাকা,স্বর্নালংকার লুট এবং ঘরে থাকা নারী শিশুসহ ৭ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এমন অভিযোগ আলাউদ্দিনের। আলাউদ্দিন আরো অভিযোগ করেন সন্ত্রাসীরা ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেই খ্যান্ত হয়নি ঘরের মাটির টিবি কেটে গুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গুরুতর আহত শিশু ইছা (১০), আলাউদ্দিন মীর (৪২), আউয়াল মীর (৪৫), মোশের্^দা বেগম (৩৫), ঝর্না (৩০), শাহিনুর (৪০) ও ফেরদৌসিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তন্ময় হোসেন ফোরদেীসি, আউয়াল মীর, মোশের্^দা ও ঝর্নাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। রবিবার দুপুরে আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ ফারুক হাওলাদারসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ডাকাডাকির শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি অনেক মুখোশধারী লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলা উদ্দিনের ঘর ভাংচুর করছে এবং লোকজনকে মারধর করছে।
আহত আলাউদ্দিন মীর বলেন, মন্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে জাকির প্যাদা, সোবাহান ও আবুল হাসানসহ ৭০-৮০ জন ভাড়াটে মুখোশধারী সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ঘর ভাংচুর করেছে এবং পরিবারের শিশু নারীসহ ৭ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ঘরে থাকা নগদ দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও দের ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোঃ মন্নান হাওলাদারের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোর ধরেননি। তবে তার ছেলে রিপন হাওলাদার বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তন্ময় হোসেন বলেন, গুরুতর আহত ৪ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
এমএইচকে/এমআর