নেছারাবাদে স্বামীর অর্থ হাতিয়ে স্ত্রীর প্রতারণা!
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
নেছারাবাদে স্বামীর অর্থ হাতিয়ে স্ত্রীর প্রতারণা!
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদে পরকিয়ায় জড়িয়ে স্বামীর অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে প্রতারনা করার অভিযোগ উঠেছে মিতা সিকদার (২৪) নামের এক নার্সের বিরুদ্ধে। একই সাথে ওই নার্স তার প্রেমিককে নিয়ে ভুক্তভোগী স্বামীকে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করছেন বলেও জানান স্বামী গোপাল চন্দ। নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই নার্সের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন তিনি।
উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের কামারকাঠি এলাকার রনজিত কুমার চন্দের ছেলে গোপাল চন্দ পেশায় একজন মিষ্টির দোকান ব্যবসায়ী। মিতা একই উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের বিভাষ সিকদারের মেয়ে। সে বর্তমানে ঢাকার মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে গোপাল চন্দ জানান, ৫বছর পূর্ব থেকে তার সাথে মিতা সিকদারের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গোপাল মিতার লেখাপড়া ও নার্সিংয়ে চাকুরীর ক্ষেত্রে সকল খরচ বহন করত। গত বছরের ৯জুন ঢাকার রামপুরা কালী মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে মিতার চাকুরীর সুবাদে গোপাল মিতাকে নিয়ে প্রথমে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ও পরে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। কিছুদিন ধরে মিতা মিঠুন নামের এক ছেলের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মিতা গোপালের অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে গোপালের সঙ্গে আর সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মিতা ও তার আত্মীয় স্বজন গোপালকে হত্যা করাসহ নানা ধরনের হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগের ব্যাপারে নার্স মিতা সিকদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে মিতার স্বামী পরিচয় দিয়ে একজন পুরুষ ফোনটি রিসিভ করেন গোপাল ও মিতার প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি ফোনটা কেটে দিয়ে আর রিসিভ করেননি। বিয়ে অস্বীকারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোপাল জানান, তাদের বিয়ের সময় উভয় পক্ষের উপস্থিত কয়েকজন, মিতার সহকর্মী ও বিয়ের পর তারা যেসব ভাড়া বাসায় থেকেছেন সেসকল বাসার মালিকগনও তাদের বিয়ের ব্যপারে স্বাক্ষী দিবেন। এছাড়াও দাম্পত্য জীবনের কিছু প্রমান তার হাতে রয়েছে বলে সে জানায়।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলায় গ্রিন লাইফ হাসপাতালে কর্মরত মিতার সহকর্মী আয়শা আক্তার জানান, মিতা গোপালের স্ত্রী, বানারীপাড়া থাকাকালীন তারা যে ভাড়া বাসায় থাকতো সেই একই বাসায় আয়শা ও তাদের আরেক সহকর্মী ফাতেমা থাকতো।
আরএ/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৩:০৫ ●
১৬২ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)