ছাতক (সিলেট) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে আল্লাহর ৯৯নামের একটি সু-বিশাল পিলার। এ পিলারকে কেন্দ্র করে ওই স্থানটির নাম দেয়া হলো “আল্লাহু চত্বর”। শুত্রুবার সৎপুর কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল আল্লামা শফিকুর রহমান ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে আল্লাহু চত্বরের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে এটি সকল শ্রেনীর মানুষের নজর কাড়ছে।
সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের নিজ অর্থায়নে মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নামে দৃষ্টিনন্দন পিলারটি নির্মাণ করা হয়েছে। বাদ মাগরিব ইবনে সিনা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবু তাইয়্যেব সৎপুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ড. কামরুল ইসলাম, সমাজকর্মী বিভাগের প্রধান ড. ইসমাঈল হোসেন, ক্যামিকেল বিভাগের ড. আবু ইউসুফ, পরিসংখ্যান বিভাগের ড. তাজ উদ্দিন, ড. জামাল উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের ড. মোহাম্মদ সেলিম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা শামছুল কবির মিছবাহ চৌধুরী, মাওলানা কামরুজ্জামান, মাওলানা মোশাহিদ আলী, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মাওলানা জাহাঙ্গির আলম, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, মাওলানা আবদুল কাদির, মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম আলকাদরি, মাওলানা নুর উদ্দিন, মাওলানা হিফজুর রহমান. রফিকুল ইসলাম, মাস্টার মানিক মিয়া, নুরুল হক, রেজ্জাদ আহমদ ও আবদুল বাছিত, কাওছার আহমদ, আবদুল মতিন, জইন উদ্দিন আহার, রাজু মিয়া তালুকদার, ফারুক মিয়া, ছায়েদ মিয়াসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেছেন,,সু-বিশাল এ দৃষ্টিনন্দন পিলারটিতে নামগুলো লিখে দেয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা পড়তে পারবে, এতে অনেক নেকি (সাওয়াব) হবে। তিনি অত্যন্ত ভালো একটি কাজ করছেন বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, মহান আল্লাহ পাকের ৯৯টি নাম আমরা অনেকেই জানিনা। মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যই এ চত্বরের আকর্ষণ। যার ফলে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোবিন্দগঞ্জ এলাকা। এ এলাকাটি ছিলো প্রায় জনমানবশূন্য। কিন্তু নির্মিত পিলারটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে দিনে দিনে তা জনপ্রিয় ও লোকারন্য হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত “আল্লাহু চত্ত্বর ঘিরে গজল, কবিতা আবৃত্তি করেন খ্যতিমান আলেমরা।
জানা যায়, মাটি থেকে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পিলারের কাজ ২০২০ সালে বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে শুরু করেন। দীর্ঘ এক বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়। পিলারের চার পাশে আল্লাহর ৯৯ নাম । পিলারের চুড়ায় দেয়া হয়েছে চার রঙের গুম্বুজ। চোখ জুড়ানো পিলারটিতে মহান আল্লাহর আরবীতে ৯৯ নামগুলো দেখলেই মানুষের মনে প্রশান্তি নেমে আসে। দৃষ্টিনন্দন পিলারটি এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন। প্রায় সময় যাত্রী ও চালকরা গাড়ি থামিয়ে এটি এক পলক চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীড়ও।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মিত হচ্ছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন চত্বর। তিন রাস্তা মোড়ে সাধারণত এসব দৃষ্টিনন্দন চত্বর হয়ে থাকে। চত্বরগুলোর সৌন্দর্যরূপ দিতে স্থাপন করা হয় পশু-পাখি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য। এতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর শোভা বর্ধন করে। কিন্তু এখানে আল্লাহর পবিত্র ৯৯ নামে পিলার স্থাপন করায় “আল্লাহু চত্বর” এলাকাটি সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি লাভ করেছে। পিলারের নীচে লিখা হয় অসংখ্য মুল্যবান বাণী।
এএমএল/এমআর