বামনা থানার ওসি’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
বামনা থানার ওসি’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!
বামনা(বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার বামনা উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামে পিতৃ-মাতৃহীন ৩ বোনের পৌত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের প্রতিবাদে থানায় ডায়েরী নেওয়ায় বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত দখলদার মো. রাসেল মল্লিক এর বোন শাহানা বেগম। পিতৃমাতৃহীন ওই ৩ বোনেরা হলেন, গোলাঘাটা গ্রামের মৃত আ. রশিদ এর মেয়ে মোসা. রুবী আক্তার(৪০), জেসমীন আক্তার(২২) ও রোজিনা আক্তার(২০)।
জানাগেছে, গত ২৩ফেব্রুয়ারী বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সামনে উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের অসহায় ওই তিন বোন নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে অনশন করেন। এসময় জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক তাদেও সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়া ও নতুন ঘর প্রদানের আশ্বাস দিলে তারা অনশন থেকে বিরত হয়ে চলে আসেন। ওই দিন পুলিশ সুপার তাদের গ্রামের বাড়ীতে আসেন এবং বামনা থানার অফিসার ইন চাার্জ মো. বশিরুল আলমকে সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে তিন বোনের একটি পাকা ঘর করার নির্দেশ প্রদান করেন। বামনা থানাপুলিশ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের প্রায় ১বিঘা জমি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। পরে সেই জমিতে পুলিশের পক্ষে একটি পাকা ঘর নির্মান করার ব্যবস্থা করেন।
জমি দখলে না রাখতে পেরে অভিযুক্ত দখলদাররা নানাভাবে ওই তিন বোনদের হুমকী-ধামকী প্রদান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তদের বড় বোন মোসা. রুবী আক্তার ও ওই জমির মোতোয়ালী সৈয়দ মুশফিকুল মান্নান কুতুবুল ইসলাম আকিল গত ২৮ মার্চ বামনা থানায় অভিযুক্ত১০দখলদারদের নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই ডায়েরী দায়ের পর ২৯ মার্চ অভিযুক্ত ৭ নম্বর দখলদার মো. রাসেল মল্লিক এর বোন শাহানা বেগম বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার পাওয়া জমির মালিক রুবী আক্তার বলেন, আমি যখন থেকে জমি দখলের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও অনশন করি তখন এই দখলদার রাসেল মল্লিক আমার জমি দখলদার ছিলেন। তিনিসহ আরো ৯ জন আমার জমি দখল করে আছেন। আমাকে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতে দেয়নি। পরে বরগুনা জেলা পুলিশ ও বামনা থানার সহায়তার আমাদের কিছু জমি উদ্ধার করি। এতে দখলদার রাসেল মল্লিক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার বোনদের গালি-গালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমি গত ২৮ মার্চ বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। ডায়েরী থানায় নিলো ক্যানো এর কারনে ২৯ মার্চ ওসির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত রাসেল মল্লীকের বোন শাহানা বেগম একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে শুনেছি।। এর একমাত্র কারন বলে আমার হয় ওসি নিজ উদ্যোগে আমাদের জমি উদ্ধার করেছেন তাই।
এ ঘটনায় অভিযোগকারী শাহানা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী। অভিযোগে যে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন তা একটি কাল্পনিক নাটক। মুলত অসহায় ৩ বোনে জমি উদ্ধার করে দেওয়ায় রাসেল মল্লিকের বোন ক্ষীপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এইচআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ০:১৩:১৮ ●
২২৯ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)