আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর কেèান করে একটি চক্র জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে চাঁদা দাবী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউএনও এমন অভিযোগ করেন। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের ব্যাক্তিগত ফোন নম্বর ক্লোন করে একটি চক্র বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জন প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে টিআর ও কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। ওইদিন দুপুরে এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে আসে। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ব্যাক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে তার পরিচয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে টাকা দাবী করছে একটি চক্র। তাৎক্ষনিক ইউএনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফোন নম্বর ক্লোন করে তার পরিচয় দিয়ে একটি চক্র চাঁদা দাবী করছে বলে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরীর প্রস্তুতি চলছে।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, একটি চক্র ইউএনও ফোন নম্বর ব্যবহার করে ইউএনওর পরিচয় দিয়ে ৬ টন চাল দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দাবীর বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে ওই চক্রকে গালাগাল দিয়ে ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, কাবিখা প্রকল্পের ছয় টন চাল দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ৩৬ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বরগুনা জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত পার্সনাল বিকাশ নম্বর পরিচয়ে (০১৯৩৬৭৭৭৯৭৩) দ্রুত পাঠাতে বলে। কিন্তু বিষয় আমার কাছে সন্দেহ হলে আমি ইউওনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করি। পরে জানতে পারলাম ইউএনও স্যারের ফোন নম্বন একটি চক্র ক্লোন করেছে। তিনি আরো বলেন, ওই প্রতারক চক্র প্রয়োজনীয় কথা বলতে আমাকে আরো একটি নম্বর (০১৭২১০০৬৩২৬) দিয়েছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, আমতলী ইউএনও পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের মোবাইল নম্বর নেন এবং আমাকে কাবিখা প্রকল্পের চাল দেয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে।
আঠারোগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ইউএনর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার পরিচয় দেয়। পরে কাবিখার ১০ টন চাল দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ওই প্রতারক চক্র।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ইউএনও স্যার অভিযোগ পাঠালেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে একটি চক্র জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে চাঁদা দাবী করেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরীর প্রস্তুতি নিয়েছি।
এমএইচকে/এমআর