গৌরনদী (বরিশাল)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী হাটের ইজারা (নিলাম) বাগিয়ে নেওয়ার গুছের টাকা ভাগবাটোয়ারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকার সোয়া লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গুছের টাকা না পেয়ে স্থানীয় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয় যুব ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস সরদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বি,এম এনামুল হক, বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোফাজ্জেল মোল্লা, সাধারন সম্পাদক মামুন প্যাদা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বিপুল সরকার, যুবলীগ কর্মী ডালিম সরকারসহ যুব ও ছাত্রলীগের ১০/১২ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার (২২ মাচর্) দুপুরে বার্থী হাটের ইজারার (নিলাম) গুছের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। ইউএনও অফিস থেকে সম্প্রতি হাটের ইজারা পাওয়ার জন্য ৫ জনে ৫টি ফরম সংগ্রহ করেন। গুছের মাধ্যমে ফেরদৌস কাজী ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বার্থী হাটের ইজারা (নিলাম) পায়। এরমধ্যে নিলামপ্রাপ্ত ফেরদৌস বাদে ইজারা ফরম সংগ্রহকারী বাকি ৪ জনকে ৩৫ হাজার টাকা ও সমজিদে ১০ হাাজর টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তালিকা অনুযায়ী এক হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০টাকা করে দলীয় ৪০ নেতাকর্মীর মাঝে বন্টন করেছে ডালিম সরকার।
বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোফাজ্জেল মোল্লা, সাধারন সম্পাদক মামুন প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তালিকা তৈরি ও গুছের টাকা ভাগাবাটায়ারা করার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম না। তবে গুছের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। একটি মহল আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস সরদার বলেন, বরিশাল থেকে মঙ্গলবার সকালে আমি বাড়িতে গেলে বার্থী বাজারে যুব ও ছাত্রলীগের ৮/১০ নেতাকর্মীকে দেখে কুশল বিনিময় করতে দোকানে ঢুকি। এ সময় তাদেরকে বার্থী হাটের ইজারার গুছের ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ভাগাভাগির নামের তালিকা তৈরি করতে দেখি। তাৎক্ষনিক আমি উক্ত টাকা ২০টি মসজিদে বন্টন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে এসেছি।
গুছের টাকা বিতরণকারী যুবলীগ কর্মী ডালিম সরকার বলেন, গুছের টাকা ভাগাভাগির সময় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থাণীয় ষুবলীগের ২ নেতা আমার কাছে ৯০ হাজার টাকা ও নামের তালিকা দিয়ে টাকা বিতরণ করতে বলা হয়। আমি নামের তালিকার সামনে যার যার স্বাক্ষর রেখে তাদেরকে হাটের গুছের টাকা দিয়েছি। এটা দলীয় টাকা নয়, গুছের টাকা কিছু দলীয় নেতাকমীকে দিয়েছি, তাতে আমার অপরাধ কি?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ^াস জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক বার্থী হাটের ইজারা (নিলাম) দেওয়া হয়েছে। বাইরে বসে বার্থী হাট বাগিয়ে নেওয়ার জন্য গুছ হয়েছে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
বিকেএস/এমআর