গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্বাধীনতার পর যখন জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ঘুরে দাড়াতে শুরু করে, তখনই ঘাতকরা নৃশংসভাবে সপরিবারে তাঁকে হত্যা করে। দেশ গঠনে তিনি খুব বেশীদিন সময় পাননি। এতো অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধুর অর্জন ছিল অনেক। তিনি তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জম্ম বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে “টুঙ্গিপাড়া হৃদয়ে পিতৃভূমি’’ প্রতিপাদ্যের উপর বাংলাদেশ যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান কামাল, এমপি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছি। জীবনকে বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। কিন্তু ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর গোটা জাতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা হয়ে গিয়েছিলাম নিস্প্রাণ ও নিস্তেজ।
যেদিন শেখ হাসিনা যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহমান এদেশে ফিরে এসেছিলেন তখন আমরা শক্তি ফিরে পায়। বলেছিলাম, এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারবো। যোগ্য নেতার-যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতার আসার পর জাতির পিতা হত্যার বিচার করে বাঙ্গালী জাতিকে কালিমা মুক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা সবসময় বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে পরিচিত করার স্বপ্ন দেখতেন। তাই তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসার পর সেলক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবো। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে আমরা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাচ্ছি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহাজাহান খান, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনি, এমপি, শেখ তম্ময়, এমপি প্রমূখ। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাস গবেষক প্রফেসর ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্য নন্দী।
যুবলীগের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বক্তব্যে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির উত্তরসুরী শেখ ফজলে শামস্ পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ এখন আগের থেকে অনেক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী একটি সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শাক্তিশালী করে যুবলীগ দেশ গঠনে ভ’মিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশের যুবলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের ১-নং গেইট সংলগ্ন নির্মিত সভা মঞ্চে এসে সমবেত হতে থাকে। “শুভ শুভ দিন, বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন, শেখ হাসিনার সরকার , আরেকবার দরকার শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হযে ওঠে সভাস্থল। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রামের উপর চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরআগে, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান্ এবং ফাপতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আহস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এইচবি/এমআর