নাটোর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নাটোরের গুরুদাসপুর আওয়ামীলীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের বিপক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিরুদ্ধে। নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট চাওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ উপজেলায় আগামী ১০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সেখানকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। সেখানে অন্য কোনো দলের প্রার্থী নেই। জেলা আয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী আনারস প্রতিক নিয়ে এবং জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি চাপিলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস সেখানে বলেন, ‘আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে যেমন ঠকেননি; আনোয়ারকে উপজেলা চেয়ারম্যান করলেও ঠকবেন না। অপর দুই প্রার্থীই চেয়ারম্যান ছিলেন। আপনারা সব সময় বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করেছেন। এবারও সে কাজটি করবেন। আপনাদের সঙ্গে আর ভোটের বিষয়ে কথা বলতে আসতে পারব না। গুরুদাসপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস অনেককেই ফোন করে, সরাসরি ডেকে নিয়ে ঘোড়া মার্কা প্রতিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন নৌকার বিরুদ্ধে। এমনকি তিনি রাতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গিয়ে নেতাকর্মীদের ডেকে ঘোড়ার ভোট চাচ্ছেন। অথচ তিনি নিজেও নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এধরনের আচারনবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসকসহ জেলা আওয়ামলীগকেও অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এলাকার জনগন তাকে পাঁচবার এমপি নির্বাচিত করেছেন। বর্তমান ও সাবেক মিলে ১২ জন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সাধারন জনগণ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনোয়ার হোসেনকে বেঁচে নিয়েছেন। সেখানে আমার সমর্থণ রয়েছে। এখানকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ইউপি চেয়ারম্যানরা সবাই বলেছেন, তাদের সাথে থাকতে হবে। তাই আছি। আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছি। এবিষয়ে উপলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদমনির হোসেন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরনবিধি লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।