আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী সরকারী ডিগ্রী কলেজে একাদ্বশ শ্রেনীর ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমের মুল্য পাঁচ’শ টাকা। কলেজের ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন। অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে কার্যকরাী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানাগেছে, আমতলী সরকারী ডিগ্রী কলেজের ৫’শ ৫০ জন নিশ্চায়ণকৃত শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেনীর ভর্তি গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে। এ ভর্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারীভাবে ভর্তিতে এক হাজার ৫’শ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই হাজার ৬’শ টাকা আদায় করছেন। ওই টাকার দুই হাজার এক’শ টাকার ব্যাংক রিসিভ দেয়া হয় কিন্তু ৫’শ টাকার রিসিভ দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমে ৫’শ টাকা আদায় করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে ২৪ ফেব্রুয়ারী কলেজ কর্তৃপক্ষ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য তারা চার হাজার ২’শ টাকা ধায্য করেছেন। প্রাণঘাতী করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তিতে অভিভাবকদের হিমশীম খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।
ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী স্বজল, স্বর্ণা ও রুবিনা বলেন, সরকারীভাবে ভর্তির জন্য এক হাজার পাঁচ’শ টাকা ধায্য করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই হাজার ছয়’শ টাকা আদায় করছেন। তারা আরো বলেন, এর মধ্যে দুই হাজার এক’শ টাকার ব্যাংকের রিসিভ দেয়া হয় বাকী পাঁচ’শ টাকার কোন রিসিভ দিচ্ছে না তারা।
ইসরাত জাহান বলেন, দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমের দাম নিচ্ছে পাঁচ’শ টাকা। এতো টাকা নেয়া মহাঅন্যায়।
মিরাজ বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য এসেছিলাম। এসে জানতে পারলাম চার হাজার দুই’শ টাকা ধায্য করা হয়েছে। এতো টাকা দিয়ে কিভাবে ভর্তি হবো তা ভাবছি?
অভিভাবক মোঃ লিটন মিয়া বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। অনেক অভিভাবকদের এতো টাকা দিয়ে ভর্তি করতে খুই সমস্যা হয় । দ্রুত অতিরিক্ত ভর্তি ফি বন্ধের দাবী জানান তিনি।
আমতলী সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ভর্তি কমিটির আহবায়ক মোঃ ফজলুল হক বলেন, টিউটর শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নিতে হবে বিধায় অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে।
আমতলী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন আহম্মেদ বলেন, ২০১৪ সালের পরিপত্র অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় ও উন্নয়ন ফি বাবদ কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, টিউটর শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ব্যাজ আইডি কার্ড বাবদ পাঁচ’শ টাকা নেয়া হয়।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মোঃ লিয়াকত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর