পবিপ্রবি’র অনুকূলে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পবিপ্রবি’র অনুকূলে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি
বৃহস্পতিবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২


পবিপ্রবি’র অনুকূলে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)’র অনুকূলে জলিশা মৌজার ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকের পক্ষে জলিশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শাহআলম এ দাবি করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পবিপ্রবিতে জলিশা মৌজায় ইতোপূর্বে ৮৫একর জমি অধগ্রহণ করা হলেও কোন পরিবারের একজন সদস্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। পক্ষান্তরে শ্রীরামপুর মৌজায় অধিগ্রহণকৃত জমির প্রত্যেক পরিবারে চাকুরি দেয়া হয়েছে। এছাড়া অধিগৃহীত জমির মূল্যবৈষম্য রয়েছে। জলিশা মৌজার প্রতি শতাংশ জমির ধার্য্য মূল্যের তিনগুণ শ্রীরামপুর মৌজায় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে জলিশা মৌজায় আরও ১৯.৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। কর্তৃপক্ষের এমন বিমাতা সুলভ আচরণে জলিশাবাসী চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। উল্লেখিত বৈষম্য দূরীকরণে জেলা প্রশাসকের নির্দেশিত (জমির মালিক-পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ)সমঝোতা বৈঠক না ডেকে কর্তৃপক্ষ জোরজবরদস্তিমূলক অধিগ্রহণ তৎপড়তা চালাচ্ছেন। এসব জোড়জবরদস্তি কোনক্রমেই জলিশাবাসী মানতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ শাহআলম আরও বলেন, জলিশা মৌজার প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ তালিকার প্রতিটি পরিবারে চাকুরী নিশ্চিত করণ ও জমির মূল্য বৈষম্য দূরীকরণ ব্যতিরেকে কোনক্রমেই জমি অধিগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। এক প্রশ্নর জবাবে সৈয়দ শাহআলম, বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৬ ফেব্রুয়ারি এসব দাবি সম্বলিত স্মারক লিপিতে ৪দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনে উচ্চআদালতের আশ্রয় নেয়া হবে। এসময় জলিশা মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় পবিপ্রবি’র জমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন বলেন, বিশ^বিদ্যালয় উন্নয়ণ প্রকল্পের চাহিদার ভিত্তিতে সরকার জমি অধিগ্রহণ ও মূল্য নির্ধারণ করেছে। এখানে কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ নেই। জমির মূল্য কম-বেশীর ব্যাপারে তারা (অধিগ্রহণ তালিকার জমির মালিকগণ ) জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলতে পারেন। সরকারি উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে পারেন না।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৮:১২ ● ২৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ