আমতলীতে একবছরেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধ্বস!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে একবছরেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধ্বস!
বৃহস্পতিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২


আমতলীতে নির্মাণের একবছরেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধ্বস!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নির্মাণের এক বছরের মাথায়ই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে পরেছে। এতে জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে পরেছে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সাত গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। দ্রুত ধসে পড়া বাঁধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মধ্য সোনাখালী গ্রামের আবুল মেম্বারের বাজার সংলগ্ন তাফালবাড়িয়া নদী। ২০২০ সালে ওই নদীর প্রবল ¯্রােতে বাজার সংলগ্ন এক’শ ৩০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, পশ্চিম সোনাখালী,পুর্ব সোনাখালী, আলগী, গোডাঙ্গা ও আঠারোগাছিয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে জানমাল ও  জমির ফসল নিয়ে বিপাকে পড়ে ওই সকল গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। জানমাল ও ফসল রক্ষায় এবং নদীর ভাঙ্গণ রোধে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২১ সালে ইমারজেন্সি প্রকল্পের অধিনে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।  গত বছর নভেম্বর মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক’শ ৩০ মিটার বাঁধ নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করে পাউবো। ওই কাজ পায় পটুয়াখালীর আজাদ এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার স্বপন মৃধা বাঁধ নির্মাণে ব্যপক অনিয়ম করেছে। বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কারনে এক বছরের মাথায় বাঁধ নদীতে ধসে পরেছে। প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস হলে ওই বাঁধ পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। বাঁধ ধসে পরায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৭ টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাঁধের একটি অংশ ধসে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলে ৭ টি গ্রামের অন্তর ২০ হাজার মানুষ ও ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই নদীতে ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কার জরুরী। স্থানীয় নান্নু প্যাদা ও মনির  বলেন, বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কারনে এক বছরের মাথায় বাঁধ ধসে পরেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকার ব্যপক ক্ষতি হবে। দ্রুত নদীতে ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কারের দাবী জানান তারা।ঠিকাদার স্বপন মৃধা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কথা অস্ববীকার করে বলেন, যথা নিয়মেই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু স্রোতে বাঁধ ধসে পরলে আমি কি করবো?
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার বলেন,  বর্ষার মৌসুম আসার আগেই বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। নইলে জলোচ্ছ্বাসে বাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলে ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ ও ফসলের ক্ষতি হবে । দ্রুত নদীতে ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কারের দাবী জানান তিনি। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলৗ মোঃ কাউছার আলম বলেন, ওই নদীতে ব্লক নির্মাণ করে ভাঙ্গণ রোধে প্রকল্প দেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩২:৫১ ● ২৩০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ