গলাচিপায় যুবলীগ নেতার বাসযোগ্য ঘর দাবি
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
গলাচিপায় যুবলীগ নেতার বাসযোগ্য ঘর দাবি
রবিবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২২
গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় অসহায় জীবন যাপন করছেন গোলখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও জুলেখা বাজার সমিতির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফা (৪৫)। মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফা হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জুলেখা বাজার এলাকার মৃত আমেদ হাওলাদারের ছেলে। স্ত্রী ও এক সন্তানের পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি তিনি নিজেই।
গলাচিপার গোলখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও জুলেখা বাজার কমিটির সভাপতি থাকা সত্বেও তিনি অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। মানুষের উপকারে ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। কখনো কোনো মানুষের কাছ থেকে কোন সহায়তা বা কোন কিছু আবদার করতেন না। একজন নেতা হয়েও তিনি চলতেন একজন সাধারণ মানুষ হয়ে। নিজে না খেয়ে থাকলেও কারো বিপদের কথা শুনলে ঘরে বসে থাকতে পারতেন না। মানবিক তাড়নায় ছুটে যেতের মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু তিনি মানুষের খোঁজ রাখলেও তার খবর কেউ রাখে না। অথচ তিনি নিজেই থাকেন একটি বসবাসের অনুপযোগী পুরনো জড়াজীর্ণ ঘরে। যেকোন মুহুর্তে ভেংগে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। জীবন যুদ্ধের এক অসহায় নেতার জীবনের গল্প বড়ই করুন। একমাত্র ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করানোর জন্য প্রয়োজনে নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতেন। আজ সেই ছেলে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজী বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছে এটাই মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফার বড় পাওয়া বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই বাবার মুখে শুনেছি বঙ্গবন্ধুর বানী। ছাত্র জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছি। শেখ হাসিনার দেখানো পথে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হয়ে মানুষের সেবা করে আসছি। অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাচ্ছি কিন্তু নিজের অসহায়ের কথা কাউকে বলতে পারি না। বাবার রেখে যাওয়া দুই শতাংশ জায়গার উপরে সেই পুরনো টিনের ছাউনি, জড়াজীর্ণ কাঠের বেড়া দেয়া মাটির ঘরে থাকি। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের ভিতরের সবকিছু। ঘর ঠিক করানোর মত টাকাও নেই। জায়গা আছে ঘর নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তা থেকে আমি একটি ঘর বরাদ্দ পেলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফার স্ত্রী মোসা. সাম্মী আক্তার বলেন, আমার স্বামী জীবনে রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই শেখেনি। তার নামে নেই কোন টাকা পয়সা। আমার শ^শুরের রেখে যাওয়া একটি ভাংগা ঘরেই আমরা থাকি। আসলেই আমরা অনেক কষ্টে আছি। দুঃখের কথা মানুষের কাছে বলতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি ঘরে দিলে ভাংগা ঘরে থেকে আর কষ্ট করতে হতো না।
গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মস্তফা যুবলীগের একজন সাংগঠনিক নেতা। দলের প্রয়োজনে যখনই তাকে ডাকা হয় তখনই হাজির হন। কিন্তু নিজের অসহায়ের কথা কখনো বলেন নি। তার একটি ঘরের বিশেষ প্রয়োজন। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. খালেক মিয়া বলেন, আসলেই পরিবারটি অসহায়। প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর ওই পরিবার পেলে তারা সুখে থাকত।
এসডি/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৫:৫২ ●
২৪৪ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)