ছাতক (সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না। সে সময় জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে নিতে লোক পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য ক্যান্টনমেন্টে থেকে যান। দেশের শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা বিগত দিনে ছিলো অসহায় এবং অবহেলিত। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে। দেশের সকল এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ছাড়াও দেয়া হচ্ছে জমি ও ঘরবাড়ি।
সুনামগঞ্জে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ৫১৮টি বাড়ি নির্মাণ করে দিবে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভূমি ও মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে। বিজয়ের মাসের শেষ দিন শুক্রবার সকালে ছাতকে ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (মন্টু বাবুর মাঠ) মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী বাদশা ও সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এড.শামীমা শাহরিয়ার এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যরিষ্টার এনামুল কবির ইমন।
বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ছাতক পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তাপস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল মোমিন। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া।
মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, দোয়ারা বাজার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালেহা খাতুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, আবদুল হালিম বীরপ্রতীক, দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, ছাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আহমেদ, চান মিয়া চৌধুরী, আফজাল হোসেন, মোশাহিদ আলী, হাজী এরশাদ মিয়া, এডভোকেট আশিক আলী, এডভোকেট সামসুর রহমান, এডভোকেট ছায়াদুর রহমান, এডভোকেট জমির উদ্দিন, আলা উদ্দিন, হাজী বুলবুল আহমদ, মখলিছুর রহমান, সিরাজুল হক, আবদুল মতিন, ফারুক আহমদ সরকুম, ভনজমুল হোসেন, আব্দুস সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আওলাদ হোসেন, গয়াছ আহমদ, হাজী সুন্দর আলী, ওদুদ আলম, আব্দুল হক, বিল্লাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক, আফজাল আবেদীন আবুল, কাজী আনোয়ার মিয়া, আমিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, আওয়ামীলীগের আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, আনোয়ার খান, কালিদাস পোদ্দার , মিনহাজ তাপস, নিতাই রায়, সামছু মিয়া, ইশতিয়াক তানভীর, আফতাব উদ্দিন, হাজী আব্দুস সামাদ, আব্দুল আউয়াল,আলমগীর হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, আলম উদ্দিন, উকিল আলী, শাহ আলম, আজির উদ্দিন, কাওছার আহমদ, পীর মোহাম্মদ আলী মিলন, আবদুল খালিক, মাফিজ আলী, এম এ কাদির, কুতুব উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর আফরোজ মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর আছাব মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ আলী, মনোহর আলী, গোলাম মোস্তফা, শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস, আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান মাহমুদ সানি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা কুহিন চৌধুরী, সোহেল মাহমুদ, রইছ আহমদ, শামীম চৌধুরী, মাহবুব মিয়া, সাজিল হোসেন বাবুল, মঞ্জু মিয়া, হাজী জয়নাল আবেদীন, আবু হানিফা সায়মন, সাইফ উদ্দিন, এহিয়া আবেদীন, ফজলু মিয়া মেম্বার, রহিম আলী, বিমান ঘোষ, জাকির হোসেন,খায়রুল হুদা, ইকবাল হোসেন, জাকারিয়া আবেদীন বাবু, রিপন মাহমুদ, সুহেল মিয়া,আব্দুল কুদ্দুছ শিপলু, আতিক হাসান, নয়ন দাস অপু, বিশ্বজিৎ ঘোষ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওবায়দুর রউফ বাবলু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মঞ্জুর আলম, কৃপেশ চন্দ, রঞ্জন কুমার দাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের আহবায়ক তাজাম্মুল হক রিপন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আবু শামীম, সাহেব আলী সাজু রুপিয়া বেগম, জোসনা বেগম, রুহেল আহমদ, ফজলুর রহমান, সাইফুল আলম, ছালেক মিয়া, মাসুদ আহমদ, সুহেল মিয়া সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও ছাতক-দোয়ারার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে ছাতক ডিগ্রী কলেজ মাঠে পৌছালে মাঠে মন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা প্রধান করা হয়। পরে স্থানীয়নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে শুভেচ্ছা জানান। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাফিজ ওমর ফারুক। গীতা পাঠ করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি বাবুল রায়।
এএমএল/এমআর