পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার ৬’শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে রাঙ্গাবালী থানায় পৃথক পৃথক ৪টি মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিস্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার খবর শুনেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শূণ্য হয়ে পরেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়াচর ও চরআন্ডা গ্রাম। হাট-বাজারের ব্যস্ততা নেই। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ।
চতুর্থ দফা ইউপি নির্বাচনে রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়াচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শেষে রবিবার (২৬ডিসেম্বর) রাতে ভোট গণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুল খালেক ফরাজী(৪২) নামের একজন। ঘটনার পর বরিশালের ডিআইজি এসএম আখতারুজ্জামান সোমবার সকালে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ডিআইজি’র কার্যালয়ের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখা, অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আহত করা, ব্যলট পেপার, বাক্স ছিনতাই এবং সরাকারী কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে মামলা নয়াচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আজমল হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা দয়ের করেন। এতে পরাজিত মেম্বারপ্রার্থী জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে ৯’শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
একই অভিযোগ এনে চরআন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদী হাসান রুমী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে পরাজিত মেম্বর প্রার্থী মজিবর রহমানকে প্রধান করে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭’শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
এদিকে নয়াচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসার ঘটনায় নিহত খালেক ফরাজীর স্ত্রী ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। মজিবর নামের একজনকে গলাচিপা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জেআর/এমআর