দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিভিন্নজনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা ওষুধ ব্যবসায়ী জুলফিকার। সম্প্রতি লেবুখালী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে তালা দিয়ে
রাতের আঁধারে স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি উধাও হয়ে গেছেন। এরপর থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় পাওনাদাররা শনিবার সন্ধ্যায় দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং ওই কে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ি। ওষুধ ব্যবসার পাশাপাশি লেবুখালী পাগলার মোড় এলাকায় একটি ওষুধের ফার্মেসি দোকানের পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসাও করতেন। ব্যবসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর আগে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংকের চেক বন্ধক রেখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নেন। পাওনাদাররা তাদের টাকা চাইতে গেলে আজ দেব-না, কাল বলে নানা অযুহাত দেখাতেন। এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না বলে গত বৃহস্পতিবার দোকান ও বসতঘরে তালা দিয়ে রাতের আধারে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়।
লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব গাজী অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসার কথা বলে সোনালী ও ইসলামি ব্যাংকের চেক জমা রেখে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে নানান টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে শুনি তিনি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। মোঃ আবুল বাশার গাজী নামের এক পাওনাদার জানান, ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। এক পর্যায়ে আমার টাকা না দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায়। মাসুদ গাজী নামের অপর একজন পাওনাদার বলেন, ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা নেয়। হঠাৎ মানুষের কাছে শুনি তিনি পালিয়ে গেছেন। এছাড়াও অরও অনেকের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা ওই প্রতারক।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতের আধারে কোথায় পালিয়ে গেছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা ওই প্রতারককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
এমআর