বাউফলে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংর্ঘষে ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকসহ আহত-২০

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংর্ঘষে ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকসহ আহত-২০
সোমবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২১


বাউফলে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংর্ঘষে ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকসহ আহত-২০

বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা চলাকালেদুই গ্রুপের সংঘর্ষে বগা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ, যুবলীগকর্মী ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান (৩৫), যুবলীগ নেতা জসিম (৩৪), মিজান মোল্লা (৪০), সুমন (৩০) ও আশ্রাফকে (২৮)  বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় জনতা ভবনের ভেতরে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি  জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসন্ন বাউফল পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে সোমবার বিকাল ৩টায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা আহবান করা হয়। ওই সভায় জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ  ও স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ, দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিইব্রাহিম ফারুকসহ কয়েকশ নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা হয়।
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আলকাস মোল্লা বক্তব্য শুরু করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন মুঠোফোনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘আপনিতো বহিস্কৃত নেতা, আপনার বক্তব্য দেয়ার প্রয়োজন নেই।’এখন মোবাইল ফোনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বক্তব্য দিবেন। আপনি বসেন।’এসময় চেয়ারম্যান  আলকাস মোল্লা দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই দলীয় কার্যালয়ের বাইরে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মারামারির দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে মাইটিভির বাউফল প্রতিনিধি অহিদুজ্জামান ডিউক ও যুগান্তর প্রতিনিধি জিএম মশিউর রহমান মিলন আহত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিক মিলনের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। পরে মোবাইল ফোনটি ফেরৎ দেয়া হয় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে  পৌরশহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এমপি আসম ফিরোজ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২০:৩৫ ● ৬৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ