গলাচিপায় বাঁশ-বেতশিল্পে জীবিকা জয়দেব’র!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় বাঁশ-বেতশিল্পে জীবিকা জয়দেব’র!
সোমবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২১


গলাচিপায় বাঁশ-বেতের শিল্পে জীবিকা নির্বাহ জয়দেব’র!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায় জয়দেব দাসের তৈরি বাঁশ ও বেতের গৃহস্থলী জিনিস পত্র বিক্রি করে চলছে সংসার। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডেও সুহরী গ্রামে বাড়ির সামনে নিবিষ্ট মনে বসে বাঁশ দিয়ে টুকরি (বাঁশের খাঁচা/ঝাঁপি), কূলা, চালন, সাঁজি, চাল মাপার সের, খেলাধুলার টলি, ডালা, মাটি ঝারার চালন তৈরি করছেন জয়দেব দাস নামের ৬৩বছর বয়সী একবৃদ্ধ। জীবিকার প্রয়োজনে তিনি এ পেশায় সংযুক্ত রেখেছেন দীর্ঘ ৩৫বছর ধরে। বাঁশ ঝাঁপিতে প্রতিদিন নিজের স্বপ্ন বোনেন তিনি। তাঁর তৈরি টুকরি পাইকারেরা কিনে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। তাছাড়া তিনি নিজেও স্থানীয় বাজারে এগুলো বিক্রি করেন।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) জয়দেব দাসের বাড়ির সামনে কথা হয় । তিনি সাগরকন্যাকে জানান  তাঁর জীবনের কথা। ছোট থেকেই নিজের পরিবারের কয়েক সদস্যকে তিনি বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে দেখেছেন। বংশপরম্পরায় জয়দেব দাস নিজেও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন তো বয়স হয়ে গেছে, তাই প্রতিদিন দুই-তিনটি ঝাঁপি তৈরি করতে পারি।’ এই পেশায় আমার মা রানী, আমার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী, আমার বড় মেয়ে সূচিত্রা রানী ও ছোট মেয়ে মুক্তা রানী আমাকে সাহায্য করেন। তাদের সকলকেই আমি এই কাজটি শিখিয়েছি। তিনি আরো জানান, একটি টুকরির দাম মানভেদে ৫০ থেকে ১০০টাকার মধ্যে। বাঁশ জোগাড় করতে হয় পাশের গ্রাম থেকে। নিজের গ্রাম থেকেও মাঝে মাঝে তিনি বাঁশ সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন তিনি। তবে কোনো কোনো দিন বিক্রি এতই কম হয় যে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে যায়। তারপরও বেতের জিনিসপত্র তৈরি করেই তা বাজারজাত করে নিজের সংসার চালোনোর জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার পুঁজি না থাকায় বাঁশ কিনতে বিলম্ব হয়। এতে তার উপার্জনও বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি সহায়তা পেলে আবার তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে জানান।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:৪৫ ● ৩৯৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ