ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ এলেও তার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ােভ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার ভাষ্য, তখন যদি এই গুদামগুলো সরিয়ে নেওয়া হত তাহলে বুধবার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডে এত হতাহতের ঘটনাটি ঘটত না। সাবেক জ¦ালানি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবসার স্থান অন্য কোথাও নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
গত বুধবার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় সড়কে গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আশপাশের ভবনে আগুন ধরে যায়। নিহত হয় অর্ধ শতাধিক মানুষ। ওই ভবনগুলোতে দাহ্য পদার্থের গুদাম থাকায় আগুন ছড়ায় দ্রুত। খন্দকার মোশাররফ শনিবার এক আলোচনা সভায় বলেন, “এই সরকার যখন মতায় ছিল, এই চকবাজার থেকে আরেকটু সামনে নিমতলীতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে ছিল। তখনও আমরা শুনেছিলাম যে, পুরান ঢাকায় কেমিকেলের কোনো গুদাম, কোনো দোকান-পাট থাকবে না। বাস্তবে কী দেখা গেলো? চুড়িহাট্টার ঘটনার পর পুলিশ বলেছে, যারা উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেছে, তারা বলছে যে, সেখান থেকে শত শত ড্রাম এক্সপ্লোসিভ, শত শত ড্রাম কেমিকেল উদ্ধার করেছে। গত ট্র্যাজেডি (নিমতলী) থেকে ৯ বছরে এই সরকার কী কাজ করেছে তাহলে? এরা যা কথা বলে তা তার বাস্তবায়ন করে না, এটা দেশের মানুষ জানে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর কেমিকেলের কারখানা, গুদাম সরানো সিদ্ধান্ত সরকার নিলেও মালিকরা রাজি হয়নি। খন্দকার মোশাররফ রাসায়নিকের কারখানা-গুদামের ব্যবসার জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলেন, যে সব গুদাম আছে, দোকান-পাটে যে সব দাহ্য পদার্থ বিক্রি করে, এগুলো অনতিবিলম্বে অপসারণ করা উচিত। অতি দ্রুত রাসায়নিক-কেমিক্যাল ব্যবসার জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। তাদের তো ব্যবসাটা করতে হবে। আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে তাদেরকে সেখানে স্থানান্তর করতে হবে। নইলে চকবাজারের চুড়িহাট্টার মতো ট্র্যাজেডি আবারো হতে পারে। জাতীয় প্রেস কাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকারের লেখা ‘নিশি রাত্রির দ্বিপ্রহর’ ও ‘মিথ্যার কাছে জাঁতি পরাজিত’ দুটি সংকলিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোশাররফ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গ্রন্থের লেখক তৈমুর আলম খন্দকার, প্রকাশক সান্তা ফারজানা, কবি আবদুল হাই শিকদার, অবসরপ্রাপ্ত জজ শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, তৈমুরের মেয়ে মরিয়ম খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
এফএন/কেএস