দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
‘ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে পটুয়াখালীর দশমিনায় বৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে দেখা মেলেনি তিন দিনেও সূর্যের আলোর। গতকাল রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এতে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে গেছে। সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। রিকশাচালক মো. কাওসার বলেন, আমাগো তো সম্পদ নাই। গরিব মানুষ। কাম না করলে ঘরে ভাত জুটবে না। তাই কষ্ট হলেও বের হইছি। হাত-পা বরফ হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষকে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের কারণে গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যহত রয়েছে এবং বায়ুর তারতম্যের আধিক্যে বিরাজ করছে। সমুদ্রে সৃষ্ট এই গভীর নিম্নচাপের কারণে এই বৈরী আবহাওয়ায় হালকা হতে মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা জুড়ে এ নিম্নচাপের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অফিস-আদালত যেতে কর্মজীবী মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না মানুষ। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে গুরুত্বপুর্ন সড়কগুলোতে যান চলাচল ছিল সীমিত। রাস্তায় যাত্রীও ছিল কম। তবে রিকশার আনাগোনা রয়েছে। এমন বৈরী আবহাওয়ার সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। একদিকে বৃষ্টি, আবার ঠান্ডার প্রকোপে তাদের কাজ থেমে নেই।
গছানী বাজারে সবজি বিক্রেতা জালাল মিয়া বলেন, কয়দিন তামাইত একটানা বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির কারণে দোকান করতে পারিনা। মাছ বিক্রেতা লাল মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে কোনো কাস্টমার নেই। টুকটাক কেনাবেচা হয়েছে। এরপরও দোকানতো খুলতে হবে। তাই চলে এসেছি। অটো চালক ইউনুছ খান বলেন, রাত থেকেই বৃষ্টি, যাত্রীও কম। দেখি, ভাড়া না পেলে ঘরে চলে যাবো।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, রোববার সকাল থেকে পটুয়াখালীতে ট্রেস বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তরবঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুর তারতম্যের আধিকত্য বিরাজ করছে। গভীর নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এসবি/এমআর