সিলেট সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
কালভার্ট ও ইটের সড়ক বানাতে দুই কোটি টাকা পরামর্শক ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বক্স কালভার্টতো আমরা নিজেরাই বানাতে পারি। এই দুই কোটি টাকা দিয়ে অন্য কোথাও একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন বানানো যায়।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের সার্কিট হাউজে বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ৫৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে বক্স কালভার্ট, সাধারণ মানের সড়ক নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজে পরামর্শক সেবাখাতে দুই কোটি টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে দেখে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবরকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বক্স কালভার্ট বানাতে কেন দুই কোটি টাকার পরামর্শক ব্যয়? এই টাকা তাদের না দিয়ে আপনারা নিজেই করেন। ওই পরামর্শকেরা যেখানে পড়েছেন আপনারাও সেখানে পড়েছেন। আপনারা কেন বক্স কালভার্ট বানাতে পারবেন না? কেনইবা সরকারের টাকা অপচয় করা হচ্ছে? সিলেট বিভাগে বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ৫৮টি। এর মধ্যে পাঁচটি প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্যের কোটায়। ৩০টি প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। বাকি প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি মোটামুটি। প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য ও ধীরগতি হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনেক পিডি (প্রকল্প পরিচালক) ঢাকায় বসে সিলেটের প্রকল্প দেখভাল করেন উল্লেখ করে সেই কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ৩০ লাখ টাকা দামের গাড়ি চড়ছেন ঢাকায় বসে। এসব গাড়ি ঢাকায় ঘোরাফেরা করার জন্য দেওয়া হয়নি। প্রকল্প এলাকায় থাকার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছে। অথচ আপনারা গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ঘুরছেন পরিবার নিয়ে। এটা সাধারণ মানুষের টাকার অপচয় করা। এই অপচয় সহ্য করা হবে না। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের গতি বাড়াতে হবে। সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে অপচয় কমাতে হবে। যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে। এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থাকতে হবে। সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট বিভাগে চলমান ৫৮ প্রকল্পের পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর