চরফ্যাশন(ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশনে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আলীর বিরুদ্ধে নকল সনদে চাকুরি করার অভিযোগ ওঠেছে।
সূত্রে জানাযায়, ওই শিক্ষক নকল সনদ ও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মোঃ কামরুল (২২)নামের এক যুবকের উপর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী শিক্ষক কৃষি মোঃ আলী (মামুন) ও তার ভাগ্নে রিয়াদ দ্বারা গুরুতর আহত হয়। আহত কামরুল হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা ৬নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর মহাজনের ছেলে।
বৃহম্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে কেন্দ্র স্থানীয় লোকজন ও সোস্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার ব্যাপক আলোচনা লক্ষ্য করা যায় ।
বিষয়টি নিয়ে মোঃ কামরুল জানায়, খেলার ১ম ইনিংসের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সাহা খেলা বন্ধ করতে বলেন। দলীয় ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল বাকি খেলা চালানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করে। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সহঃপ্রধান শিক্ষক মোঃ আলী (মামুন) ও রিয়াদ তার উপর স্টাম্প ও ছুরি দিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একজন জানায়, আহত মোঃ কামরুলকে হাসপাতালে নিতে চাইলে মোঃ আালী ও তার ভাগ্নে বাধা দিয়ে কামরুলকে মারার হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসিসহ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত কামরুল স্নাতক শেষ করে মার্স্টাসে ভর্তিরত একজন ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ আলী (মামুন) এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিদয়ালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সাহার যোগসাজসে ভুয়াজাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয় এবং দীর্ঘ দিনযাবৎ চাকরিও করে আসছে। তারা আরও জানায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, মোঃ আলী মামুন ও রিয়াদ সহ হাজারীগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসী প্রভাব খাটাচ্ছে।
বিদ্যালয় চলাকালীন পাঠদান না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বিক্রি/ রোগী দেখেন।
এই ব্যপারে স্থানীয়রা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ওই সহকারী শিক্ষক কৃষি আঃ আলী ও বিকাশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি। হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই স্কুলের সভাপতিকে বিষয়টি মিমাংসা করতে নির্দেশ দিয়েছি।
হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সেলিম হাওলাদার বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল নোমান আমাকে ফোনে বিদ্যালয়ের খেলা নিয়ে মারামারির বিষয়টি ফয়সালা করে দিতে বলেছেন। আহত কামরুল সুস্থ হলে উভয় পক্ষকে ডেকে বিচার করবো।
এদিকে চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্র/ছাত্রী, সাবেকছাত্র/ছাত্রী ও অবিভাবকগণ অভিযুক্ত নকল সনদ দিয়ে চাকরিরত সহকারী শিক্ষক কৃষি আঃ আলী(মামুন) এবং তাকে সহায়তাকারী প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এএইচ/এমআর