সঞ্জয় ব্যানাজী, দশমিনা (পটুয়াখালী) থেকে॥
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ভবনগুলো নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা না হলে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যেতে পারে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অপর দিকে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রেনী কক্ষেও আসবাপত্র সংকট থাকায় হোগলা কিংবা মাদুর বিচিয়ে চলে ক্লাস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১শ’৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘর টিনকাঠে নির্মিত। যার কোন কোনটি প্রায় ১৫/২০ বছরের পূর্বে নির্মান করা হয়েছিল । এসব টিনের ঘরগুলো নরেবড়ে জড়াজীর্ন অবস্থাতে রয়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানিয়েছেন, সামন্য ঝড়বৃষ্টি হলে ধ্বসে পড়ার আশংকায় জানমাল রক্ষার্থে স্কুল ছুটি দিতে হয় । পশ্চিম চরহোসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুমন ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শাখা থাকলেও কক্ষের অভাবে একই সাথে পাঠদান করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী থাকায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করতে পারছিনা। ফলে শিক্ষার্থীদের সূষ্ঠ পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় দু’ শতাধীক শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠ পাঠদানের জন্য অনতিবিলম্বে একটি ভবন একান্ত প্রয়োজন। প্রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই দৃশ্য দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম চরহোসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চরহোনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয় আক্রাম খান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনগোপালদী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম রনগোপালদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনগোপালদী ইউনিয়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জৌতা গাজীবাড়ি সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রনগোপালদী মৌজার চরের মধ্যস্থিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর রনগোপালদী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবোরহান ১৫শ’ প্রকল্প বিদ্যালয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-শাহজালাল ১৫শ’ প্রকল্প সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-শাহজালাল উত্তর পাড়া নন রেজিঃ বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-বোরহান ২নং শীট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-শাহজালাল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর চর-বোরহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চাদপুরা প্যাদার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরহাদী ১৫শ” সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধ্য আরবেগী সিকদারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাখালী গাজীবাড়ি সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ জাফর দক্ষিণ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন আদমপুর সোমবাড়িয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন আদমপুর হাওলাদার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-বাশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-বাশবাড়িয়া ১৫শ” সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৭নং ঠাকুরের হাট ভিডিসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৯নং দক্ষিন গছানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৩নং বেতাগী সানকিপুর ভিডিসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭২নং দক্ষিন বড়গোপালদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৭নং দক্ষিন রামবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩নং লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং পশ্চিম আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬০নং গোপালদী নিজাবাদ উত্তর সিংহের হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৩নং উত্তর পূর্ব খলিশা খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৩নং গোপালদী নিজাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫২নং উত্তর কাটাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৬নং দক্ষিন বাঁশবাড়িয়া ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ম.ু জাহিদ এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার এ উপজেলার ৪০ টিনশেড প্রাথমিক বিদ্যালয় জড়াজীর্ন দশায় রয়েছে । সংস্কার বা নির্মানের জন্য আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি । আমার মনে হয় আগামী বাজেটে জড়াজীর্ন বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বা নতুন ভাবে নির্মানের বাজেট পাব।