কাউখালী(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের কাউখালীতে একটি মসজিদ থেকে তাবলিগ জামাতের ১৫ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাউখালীর গারতা এলাকার আল-সেতারা জামে মসজিদে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।এরা হলেন নওগাঁ জেলার ইয়াসিন আলী(৫২),ইদিকুল ইসলাম(৬২)আব্দুস সাত্তার(৪০),মোস্তাকিন(৫৯),আবদুস সামাদ(৭১),সুনামগঞ্জের শফিউল্লাহ(৬২),জাফর আলী(৬০),আব্দুল হান্নান(৬০),নিলফামারীর মুস্তাকিম(১৮),নেত্রকনার মিজানুর রহমান (৫০),হামিদ উদ্দিন(৫৫)কক্সবাজারের সফিউল্লাহ(৭০),আলী আকবর(৭০),হারুন আর রশীদ(২০, নোয়াখালীর তাবারক উল্লাহ(৬৩)।আর জয়পুহাটের মুজাহার আলী সুস্থ্য রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বৃহস্পতিবার রাতে তাবলিগ জামাতের সদস্যরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে শুক্রবার তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে খাবাওে মাত্রাতিরক্ত ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল ।
কাউখালীর তাবলীগ জামাতের সদস্য মো. মহসিন জানান, সুনামগঞ্জ,কক্সবাজার,নেত্রকনা,নওগা, নেত্রকনা,জয়পুরহাটসহ দেশের কয়েক জেলা থেকে ১৬ সদস্যকে চিল্লাার (সফর) জন্য কাকরাইল মসজিদ থেকে তাবলিগের আমির তাদের পিরোজপুরে পাঠান। পিরোজপুর থেকে তারা কাউখালীতে আসে ৩নভেম্বর। এরা দুটি মসজিদ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে গারতা এলাকার আল-সেতারা জামে মসজিদে জামে মসজিদে পাঠানো হয়।
কক্সবাজারের হারুন আর রশীদ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমরা যে যার কাজ করি। আমিরের নির্দেশমতো আমরা দিনভর মানুষকে দিনের দাওয়াত দিয়েছি, ইসলামি আলাপ-আলোচনা করেছি। রাতে খাবার খেয়ে আমরা ঘুমাই। তারপর এলাকার এক সাথি জানান তার শরীর খারাপ লাগছে। আমরা তখন মসজিদের সামনে একটু হেঁটে এসে ঘুমাই।’
ফজরে তাবলিগের ওই দুইজন সদস্য ছাড়া অন্যরা কেউ উঠতে না পারলে মসজিদের ইমাম স্থানীয়দের জানান। পরে সেই ১৫ জনকে অচেতন অবস্থায় কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় মুসল্লী জসিম জানায়, ভোওে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখেন তাবলীগ জামাতের সদস্যরা মসজিদ এবং মসজিদের বাইরে অতেচন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার কওে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত কর্মকার জানান, ‘অচেতন ১৫ জন মুসল্লিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে তারা এখন আশংকামুক্ত। আমাদের ধারনা তাদের খাবাররের মধ্যে মাত্রাতিরক্ত ঘুমের ওষুধ মিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। ভর্তি হওয়া ২জন মুসল্লীর আব্দুল হান্নান(৬০) এবং তাবারেক উল্লাহ(৬৩)কে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন জানান, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে খাবারেও হয়তো কোনো সমস্যা ছিল।অসুস্থদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আরএইচআর/এমআর