ছাতক (সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ছাতক উপজেলা নিবাচন অফিসে কর্মচারিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুনীতি ও ঘুষ না দিলে নিবাচনী ডিউটি দেয়ার নামে পোলিং অফিসারদের কাছ থেকে ৮শদটাকা ও একহাজার টাকা পযন্ত ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগে টাকা পরে নিবাচন ডিউটি তালিকা তৈরি হচ্ছে পছন্দ মতো বিদ্যালয় গুলোতে।
জানা যায়,সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নিবাচন, প্রথমধাপে তিনটি ইউপি-নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং অফিসার পদে ডিউটি পেতে ৫শদটাকা থেকে একহাজার টাকা পযন্ত ঘুষ না দিলে ও সরকারি চাকুরীকে বাদ দিয়ে বেসরকারি কিন্ডার গাডেন শিক্ষিকাকে ইউপি নিবাচনে ডিউটি দেয়ার এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার ভাতগাও ইউপি নিবাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। এ নিবাচনে সরকারি শতশতশিক্ষক শিক্ষিকা চাকুরীজীবি থাকার পর ও সাজিদ আলী বেসরকারি কিন্ডার গাডেন দুজন শিক্ষিকা একহাজার ঘুষের বিনিময়
নিবাচনী ডিউটি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জামিলের বিরুদ্ধে।
ইউপির নিবাচনে ডিউটি পেতে হলে ছাতক নিবাচন অফিস সহকারি জামিল আহমদ কে তাদের ৫শদ থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গুণতে হয়েছে।
একশ্রেনীর দালাল শিক্ষকদের সিন্ডিকেন্টের মাধ্যমে নিবাচন অফিসে সহকারি জামিল আহমদ নিবাচন কমিশন অফিসার পরিচয় দিয়ে এসব প্রতারনা করে তাদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার জামিলের বিরুদ্ধে ।
জামিল আহমদ এক হাজার টাকা ঘুস নিয়ে দুদজন বেসরকারি সাজিদ আলী কিন্ডার গাডেনের শিক্ষিকাকে নিবাচনী ডিউটিতে পোলিং অফিসার নিযোগ দেয়।
মন্ডলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তারা শামীমা বেগম ও পপি রানি ধরকে পোলিং অফিসার হিসাবে ডিউটি দেয়া হয়েছে।
নিবাচন অফিসের কেরানীর টাকা বিনিময় পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় নিবাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গোটা উপজেলা জুড়েই ।
এদিকে জামিল আহমদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে এই দায়িত্ব পেতে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৫শদ থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গুণতে হয়েছে।
এতে করে উপজেলা পোলিং অফিসার নিয়োগের নামে নিবাচন অফিসে জামিল আহমদ ২ দফা দেড় হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে প্রায় ৭ লাখ ৫০হাজার টাকার ঘুষ হাতিয়ে নেন।
একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকারা পৌর সভা ও প্রথমধাপে ইউপি নিবাচনে পোলিং অফিসার পদে ডিউটি পেতে হলে চাকুরীজীবিরা বাধ্য হয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে প্রত্যেক
পোলিং অফিসার নিবাচন কমিশন অফিসে সহকারি জামিল আহমদকে নিম্নে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত প্রত্যেক কয়েকজন দালাল শিক্ষকদের নেতার মাধ্যমে অগ্রীম অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যে শিক্ষক নিবাচন অফিসে দুনীতিবাজ জামিল আহমদকে টাকা না দিলে ডিউটি নামে সরকারি চাকুরীজীবিরা তার হাতে নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার সঙ্গে একশ্রেনীর শিক্ষক নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় যারা টাকা দিতে পারে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর যারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদের বয়স্ক ও দুর্বল উল্লেখ করে বাদ দেয়া হয়।
সে হিসেবে গড়ে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার ৫শদ জনের নিকট থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
ছাতক উপজেলার একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান একশ্রেনী দালাল শিক্ষকরা পৌর সভা ও ইউপি নিবাচন প্রথমধাপে পোলিং অফিসার হিসাবে নিবাচনে ডিউটি বার বার কিভাবে পাচ্ছে এসব তথ্য রেব হচ্ছে। জনৈক একশ্রেনীর দালাল শিক্ষক নেতারা বলে ডিউটি পেতে হলে অফিসে টাকা দিতে হয় হবে। পরে তার কাছ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা নেয়ার পর তাদেরকে ডিউটি দেয়া হয়েছে।’
এদিকে উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকারা
বলেন, ‘নির্বাচনে ডিউটি দিতে তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫শ’ টাকা করে নেয়া হয়। জনৈক শিক্ষকনেতা বলেছেন- নিবাচন অফিসে কেরারীকে এ টাকাগুলো দিতে হয়। আর টাকা না দিলে ডিউটিতে নেয়া হবে না। এজন্য বাধ্য হয়ে তারা টাকা দিতে হয়েছে।
জনৈক এক শিক্ষক নেতা তার নাম প্রকাশ না শতে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ৫ জন গ্রুপ করে পোলিং অফিসারদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা উঠিয়ে অফিসে দিয়েছি।’
এই অভিযোগ বিষয়ে ছাতক উপজেলা নিবাচন অফিসে কেরানী জামিল আহমদ সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপাারে উপজেলার প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মাসুম মিয়া জানান,সরকারি শদশদশিক্ষক শিক্ষিকা থাকার পর রহস্যজনক কারনে বেসরকারি দুজন শিক্ষিকাকে পোলিং অফিসার নিযোগের ঘটনা সত্য বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এএমএল/এমআর