পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরে প্রেমিকার হামলায় সাগর খলিফা (৩৫) নামের এক প্রেমিক আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৩১অক্টোবর)পিরোজপুর পৌর এলাকার ভাইজোড়া দক্ষিন নামাজপুর এলাকায়। আহত সাগর পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফা ফুলঝুড়ি এলাকার আব্দুল আজিজ খলিফার ছেলে।
আহত সাগর জানায়, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিন নামাজপুর এলাকার আলী আকবরের মেয়ে নুসরাত ফারিয়ার সাথে সাগরের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। প্রেমের সূত্র ধরে ফারিয়া তার ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে সাগরের কাছ থেকে ২০ লক্ষাধীক টাকা ধার নেয়। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় সম্পর্ক মামলায় গড়ায়। এক পর্যায়ে গিয়ে মিমাংশা হয়। কিন্তু মেয়ে পূনরায় ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ছেলে তাতে সাড়া দেয় না। সে রবিবার ওই এলাকায় তাদের জমি দেখে ফেরার সময় মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে নুসরাত তার সহযোগি নিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায় । এতে তার পায়ে আঘাত লেগে যখম হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাগরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে তাকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নুসরতের মা ফাতেমা বেগম জানান, সাগর একজন মাদক ব্যবসায়ী। প্রায় দুই বছর ধরে সাগর বিভিন্ন ভাবে নুসরতকে উত্যক্ত করে আসছিলো। এক পর্যায়ে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাগরের বিয়ে এবং ছেলে মেয়ে থাকায় তারা সে বিয়েতে রাজি হননি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে নুসরতদের পাকঘর, গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় আগুন দেয় এবং এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়। রবিবার দুপুরে সাগর তার দুই সহযোগি নিয়ে জোড় করে নুসরতকে ধরে মোটর সাইকেলে তুলতে গেলে তিনি তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এতেও তিনি রাখতে সক্ষম না হলে কাছে থাকা একটি ছোট বাংলা দা তার দিকে ছুড়ে মারলে সেটি সাগরের পায়ে গিয়ে পড়ে। এতে সে আহত হয়।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. জা. মোঃ মাসুদুজ্জামান বলেন, এ রকম একটি খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএইচএম/এমআর