বাগেরহাট সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সুন্দরবন এখন দস্যু মুক্ত হয়েছে। সেই সুন্দরবনে নতুন করে কাউকে দস্যুবৃত্তি করতে দেয়া হবে না। কেউ নতুন করে সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি করতে যাবেন না। আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি অভ্যাহত রেখেছে। নতুন করে কেউ যদি কোন অপতৎপরতা করতে যাবেন না, শেষ রক্ষা হবে না। সুন্দরবনে কাউকে আর দস্যুবৃত্তি করতে দেয়া হবে না।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ চত্তরে সুন্দরবনকে দস্যু মুক্তির ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আত্মসমর্পনকৃতদের পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যারা আত্মসমর্পন করেছেন, তারা বিভিন্ন মামলার কারনে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে তাদের যে, আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হচ্ছে, তার অধিকাংশ টাকাই উলিকদের না কি দিয়ে দিতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা বাদে আত্মসমর্পন করা সকল দস্যুদের অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার করা হবে। আপনাদের কাছে শুধু একটা কথা বলতে চাই, নতুন করে আর দস্যুতার কথা মাথায় আনবেন না।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, খুলনা সিটি করর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাপতি মো. শামসুল হক টুকু এমপি, খুলনা-২ আসনের এমপি শেখ সালাউদ্দিন এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) প্রমুখ।
পরে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ৩২৬ জনকে র্যাবের পক্ষ থেকে দেয়া উপহার প্রদান করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ব্যাক্তিদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে ৩২৬ জনের মাঝে ১০২টি বসত ঘর, ৯০টি দোকান ঘর, জালসহ ১২টি নৌকা, ৮টি ট্রলার ও ২২৮টি গবাদি পশু উপহার হিসাবে তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ০১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দস্যুমুক্ত ঘোষনা করা হয় বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবনকে। সে সময় ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সাংবাদিক মোহসিনুল হাকিম ও র্যাবের সহযোগীতায় আত্মসমর্পন করে এক সময় সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালীদের কাছে মুর্তিমান আতঙ্ক ৩২ জলদস্যু-বনদস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য। এসময় তারা র্যাবের হাতে তুলে দেয় ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজর ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ।
এবি/এমআর