গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরাতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প দরকার: মেনন
প্রথম পাতা »
রাজনীতি »
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরাতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প দরকার: মেনন
শুক্রবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, আমাদের মত বিনিময়ের স্বাধীনতা সবার রয়েছে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমরা কেউ কথা বলি না। দেশে জনগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসে যেসব ব্যক্তি-দলের অবদান ছিল তাদের স্বীকৃতি দিয়ে যথাযথ সম্মান দিতে হবে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রনেতা কমরেড মোস্তফা জামান হায়দার। মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক কমরেড মেজবা কামাল।
রাশেদ খান মেনন বলেন, নিজেদের মধ্যে বিকল্প তৈরি করতে হবে। তবে তা হতে হবে রাজনৈতিকভাবে। সে জায়গায় নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। বিএনপি জামায়াত বিকল্প হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের দেশের জনগণ বর্জন করেছে। জামায়াতের কেউ কেউ এখন ক্ষমা চাইতে রাজি। অবশ্যই তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। তবে সেটা হতে হবে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে। এ ছাড়া জামায়াতের কেউ কেউ সংস্কারের কথা বলে। এ সংস্কার হতে হবে একে পার্টির মতো, মুসলিমদের মতো। এরপর যে জামায়াত আসবে তারা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ ত্যাগ করেছে কিনা তা এখন থেকেই ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন হয়েছে সত্য। কিন্তু এর পাশাপাশি ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই তরুণদের শুধু স্লোগান দেখে নয় দূরদর্শী চিন্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই দেশে সার্বিক উন্নয়ন হবে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। মোস্তফা জামান হায়দার বলেন, দেশে স্বাধীনতার সংগ্রাম কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর একার অর্জন নয়। এটা দেশের সব স্তরের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমমূলক আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। তবে বর্তমানে স্বাধীনতা অন্দোলনে বামপন্থীদের অবদানের কথা অস্বীকার করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এজন্য ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণা জনসম্মুখে আনতে হবে। কারণ সেদিনই প্রথম প্রকাশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এটা সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মূল আলোচনায় অধ্যাপক কমরেড মেজবা কামাল বলেন, ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসের ঐতিহাসিক দিন। এদিন ছাত্র ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফেডারেশন যৌথভাবে ৫০ হাজার লোকের সামনে স্বাধীন পূর্ব বাংলা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আজ স্বাধীনতার ইতিহাস যেন কুক্ষিগত হয়ে গেছে। এজন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসে যেসব ব্যক্তি-দলের অবদান ছিল তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। জনসাধারণের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস আমাদের তুলে ধরতে হবে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এফএন/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:১৭ ●
৪৯৮ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)