দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন!
শনিবার ● ২৩ অক্টোবর ২০২১


দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন!

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দশমিনায় এক মাছ ব্যবসায়ির পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে শুক্রবার শেষ বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে শনিবার পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো. এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে  মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন ডাক চিৎকার শুনে পুকুর পারে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০হাজার টাকার দেশী প্রজাতের মাছ মরে ভেসে আছে।
ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধার স্ত্রী মোসা. পারভিন বেগম বলেন, আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পারে বিষের বোতল নিয়ে হাঠে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষন পর হইতে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে। আমরা এখন কি খাবো কি করবো আর কই যাবো আমাগো না খাইয়া মরতে হবে।
ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারনে প্রকাশ্য দিবালোকে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর পূর্বেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘদিন যবৎ দেশী প্রজাতীর মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদেও ট্রেডলাইন্সে রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সাথে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।
দশমিনা থানা ওসি মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কাহার পুকুরে বিশ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৮:১৭ ● ৭৪৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ