কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি মৌজায় নৌবাহিনীর অধিগ্রহণকৃত জমির বসতঘরের মূল্য সরকারের ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন করে দেয়ার কথা বলে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল মল্লিক নামে নৌবাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগি প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম, আবুবকর, আক্কাস সরদার ও রফিক হাওলাদার এ অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি মৌজায় নৌবাহিনী কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির বসতঘরের মূল্য সরকারের ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন করে দিবেন বলে কয়েকজনের নিকট থেকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সোহেল মল্লিক ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প নেয়। ভুক্তভোগিরা সংবাদকর্মীদের জানান, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সোহেল মল্লিক তাদেরকে বলেন, তার বোন খুশি বেগম পটুয়াখালী জেলা এলএ অফিসে কর্মরত, তার মাধ্যমে ঘরের মূল্য বাড়িয়ে দিবেন। ঘরের টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার শর্তে নগদ টাকা না দিতে পারায় ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প দিতে বললে তাঁরা বিশ্বাস করে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেয়। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে কলেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড-এর আমার ব্ল্যাঙ্ক চেক নং এসএ ৩৭৭৪৯৭৪ নম্বরে গত ১৫ অক্টোবর মোসা: খুশি বেগম ষোল লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনার করে। এখন আমি চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি, কবে জানি আমার জমিও লিখে নিয়ে যায়। প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম’র স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী সহজ সরল প্রতিবন্ধী, তাকে কিসব বুঝিয়ে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে গেছে নৌবাহিনীর সোহেল মল্লিক।
ভূক্তভোগি মো: আবু বকর এ গণমাধ্যমকে বলেন, নৌবাহিনীতে চাকুরি করার সুবাধে সোহেল মল্লিক আমার কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প নিয়েছে। আরেক ভূক্তভোগি আক্কাস সরদার ও রফিক হাওলাদার জানায়, সোহেল মল্লিক খুলনাতে নৌবাহিনীতে চাকুরি করে, অধিগ্রহণকৃত ঘরের সরকারের মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন করে দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনশত টাকার স্ট্যাম্প নেয়। তারা আরো বলেন, সোহেল মল্লিকের বোন খুশি বেগম পটুয়াখালী জেলা এলএ অফিসে চাকরি করে সেসব করে দিবে। এখন আমরা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গেছি। এখন কি করবো কোথায় যাব কিছু বুঝতে পারছিনা।
স্থানীয় অধিবাসী নান্নু সরদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, নৌবাহিনীতে চাকুরি করে সোহেল মল্লিক এবং তার বোন খুশি বেগম পটুয়াখালী জেলা এলএ অফিসে চাকুরি করে এ কথা বলে এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প নেয়।
অভিযুক্ত সোহেল মল্লিকের বোন মোসা: খুশি বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার সাথে পরে দেখা করে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোনের কাছ থেকে জমি বিক্রির কথা বলে তারা টাকা নিযেছে। দলিল না দেওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমার বোন ষোল লক্ষ টাকার মামলা করছেন।