তজুমদ্দিন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার তজুমদ্দিনে প্রবাসে পরিচয়ের সুত্র ধরে কাবিন ছাড়া বিয়ে ও প্রতারনার মাধ্যমে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাবিমনামা ও স্বীকৃতির দাবীতে ওই নারী স্বামীর বাড়িতে আসলে গভীররাতে তাকে মারপিট করে হত্যার চেস্টা করা হয়। স্থানীয়রা প্রবাসী নারীকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সুত্র মতে জানাগেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শম্ভুপুর গ্রামের মজিবল হক দালাল বাড়ি মৃত অহাদ আলীর ছেলে মোঃ আঃ হালিমের সাথে ২০১৮ সালে সৌদিআরব সম্পর্ক হয় ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার, মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শোনাউথা গ্রামের এছাক হাওলাদার বাড়ির রুনা বেগম এর সাথে। এর পর হালিম বিয়ের আশ্বাসে ২ সন্তানের জননী রুণা বেগমকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে ২০১৯ সালে ঢাকায় এনে বিয়ে করেন। তবে বিয়ে হলেও ওই সময় কাবিন করেনি আঃ হালিম। এরপর তারা আবার সৌদিআরব চলে যান।
বেশ কিছুদিন একসাথে সংসার করার পর ২০২১ সালের শুরুতে উভয়ে একসাথে দেশে এসে রুনাকে ঢাকা রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন আঃ হালিম।
রুনা বেগম আরো জানান, গত রমজানে হালিমের বাড়ীতে আসলে তার ভাই কবিরসহ চরফ্যাশন নিয়ে ৫দিন আটকিয়ে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে রুনার কাছে থাকা মোবাইল সিম মেমোরি কার্ড বিয়ের প্রমাণাদি সহ সকল কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যান হালিমের পরিবার।
শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নয়ন মেম্বার জানান, আঃ হালিমের অনুরোধে সমাধানের উদ্দেশ্যে রুনা বেগমকে ভোলায় আসতে বলি। কাবিমনামা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই মহিলা হালিমের বাড়ীতে চলে আসে। সমাধানে উদ্দেশে তাকে রাতে প্রতিবেশী বাবুলের ঘরে রাখি। এরপর বাবুলের স্ত্রীর যোগসাজশে হালিমের স্ত্রীসহ ৪/৫ জন মিলে গভীররাতে বাগানে নিয়ে রুনাকে মারপিট করে।
সাবেক ইউপি সদস্য উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি নুরনবী নসু জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপারি বাগানে পাহারাদার আঃ মালেক মারপিট ও ডাকচিৎকার শুনে। পরে আবু তাহের, কাশেম মাওলানা, লালমিয়া, কামাল মিলে রুনা বেগমকে উদ্ধার করে সকালে হাসপাতালে পাঠায়।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, শম্ভুপুরে একজন প্রবাসী নারীকে রাতে মারপিট করার কথা শুনেছি। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
আরএস/এমআর