পিবিআই পুলিশ পরিচয়ে- দুমকিতে তুলে নেয়ার ১৬ঘন্টা পরে হাসপাতালে যুবক উদ্ধার
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
পিবিআই পুলিশ পরিচয়ে- দুমকিতে তুলে নেয়ার ১৬ঘন্টা পরে হাসপাতালে যুবক উদ্ধার
শুক্রবার ● ৮ অক্টোবর ২০২১
দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) পরিচয়ে তুলে নেয়ার ১৬ঘন্টা পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মিলন গাজী(৩৫) উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে উপজেলার লেবুখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পিবিআই পুলিশ পরিচয়ে মিলন গাজীকে (৩৫) তুলে নিয়ে ফেরী পার হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায় ৮/১০জনের একদল দুবৃত্ত। এর পর থেকেই কোন সন্ধ্যান পাচ্ছিল না তার পরিবার। চারিদিকে খোঁজ খবর নিয়ে সন্ধান না মেলায় শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে দুমকি থানায় এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজ মিলন গাজীর পিতা আবদুল কাদের গাজী। জিডিতে বলা হয়, মিলন গাজী পেশায় একজন গাড়ী চালক। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরে রাতের খাবার খেয়ে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১টার দিকে তাদের বসত:ঘরের সামনে ৮/১০জন লোক এসে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাডাকি করে। দরজা খোলার পর সবাই হুরমুড়িয়ে ঘরে ঢুকে মিলন গাজীকে বাড়ির সামনে অপেক্ষমান একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে লেবুখালী ঘাটের স্পেশাল ফেরিতে পাড় হয়ে বরিশালের দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ ও নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার বিকেলে ৪টায় লোকমুখে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খোঁজ নিতে গিয়ে তার সন্ধান পায় স্বজনরা। জ্ঞান ফেরার পর মিলন গাজী জানায়, দুবৃত্তরা তুলে নিয়ে গাড়ীতে বসে তাকে বেধম মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় বরিশালের রূপাতলি এলাকায় ফেলে যায়। ভোর হলে স্থানীয় লোকজন তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তবে ভিকটিমকে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাওয়া গেছে বলে শুনেছি।
পুলিশ সুপার (পিবিআই) পটুয়াখালী আবদুস সোবাহান খান বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের খুজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৫:১৩ ●
৩২৪ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)