কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ইউপি সদস্য ও বাংলাদেশ জামাত ইসলামের সদস্য মো. মোসারফ মুন্সির বিভিন্ন অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চাঁদাবাজি,ভ’মি দখল,মাছের ঘের দখল ও ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকেন তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। তার রয়েছে একাধিক নারী সদস্য তাদের মূল কাজ হচ্ছে চাদাবাজি,ধর্ষণ,নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষ কে হয়রানি করা।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন সভাপতি মো. সোহাগ মুন্সির এক অভিযোগে জানায়,মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য মোসারেফ মুন্সি দীর্ঘ দিন ধরে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানি মূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর আমার বিরুদ্ধে তার এক নারী সদস্য মরিয়ম বেগমকে দিয়ে আমাকে এক নম্বর আসামি করে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আমি এলাকায় মানুষের কল্যানে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করে থাকি এবং সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে সুকৌশলে আমাকে হয়রানি করে আসছে। যে দিন আমার নামে মামলা করা হয়েছে সেই দিন সকাল ১০ টায় কলাপাড়া হাসপাতালে ডা. লেলিন খানের চেম্বারে ছিলাম তার পর আমি উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের পসরবুনিয়া গ্রামে দৈনিক আমার সংবাদের কলাপাড়া প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুকের পিতার ইন্তেকালে বেলা ১১টায় জানাযা নামাজে অংশ গ্রহন করি।
বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ৩ টায় স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ মুন্সি গরু নিয়ে বাড়ি যাবার পথে পশ্চিম মধুখালী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ইউপি সদস্য মোসারফ মুন্সির সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ফেরদাউস মুন্সি তার দল বল নিয়ে গরু এবং টাকা ছিনিয়ে নেয় এসময় স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদের ২ চৌকিদার এসে গরু উদ্ধার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থলে গিয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ এর সত্যতা পায় ,তার ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাজের সাথে আমাকে জারানো হয়। ২৭ নং পশ্চিম মধুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৫/১৬ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন মো. মোসারফ মুন্সি। তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময় নতুন ভবন নির্মান শেষ হলে,পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলে ইট,রড নিয়ে তার নিজ বাড়িতে কাজে লাগান। সেই পুরান ভবনের ইট এখন তার বাড়িতে পাওয়া যাবে ইট নং- সি আর পি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ত্রান পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য মোসারফ মুন্সি জাল জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে সরকারি জমি বিক্রি করেন। র্দীঘদিন ধরে সেই জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। জমি বুঝ না পেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন মো.রুহুল আমিন।
ভুক্ত ভুগী মো. সোহাগ মুন্সি বলেন,আমি বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম এবং বর্তমানে ইউনিয়ন সভাপতি পদে নিযুক্ত আছি। সাধারন মানুষের পাশে থেকে দলীয় স্বার্থে কাজ করে থাকি। মোসারফ মুন্সি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হয়রানি ও দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য লিপ্ত রয়েছে।আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
ইউপি সদস্য মো. মোসারফ মুন্সি বলেন,আমি এসব কাজের সাথে জড়িত নই, একটি কুচক্রীমহল আমাকে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যে বানোয়াট কথা বলেছে।
এসকেআর/এমআর