কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥
মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অহরন ও বিপননের বাঁধাসহ এ পেশায় সম্পৃক্তদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে সরকার। এরসাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলের সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। জেলেদের তালিকা হাল নাগাদ করা হচ্ছে। আবরোধকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা প্রদানের কথা ভাবছে সরকার।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরনকেন্দ্রের উদ্ভোধনের সময় এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সাথে সমন্বয় করে আগামীতে সকল আবরোধ কর্মসূচী দেয়া হবে। এনিয়ে ভারতের হাই কমিশনারের আলোচনা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পোতাশ্রয় হিসেবে খ্যাত খাপরাভাঙ্গা নদীর দুই তীরে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে জমির মূল্যসহ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১ একর ৯ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। আর জমির মূল্যসহ ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ একর ১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। উভয় কেন্দ্রেই রয়েছে অফিস ভবন, ৪০টি কক্ষবিশিষ্ট আড়ৎ ভবন, ১০ হাজার বর্গফুটের ১টি অকশন শেড, আলীপুরে ২টি অকশন সেড, ২ হাজার বর্গফুটের ১টি প্যাকিং শেড, মাছের গুণগত মান যাচাইয়ের ১টি ল্যাবরেটরি, ১০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি বরফকল, ১টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দোতলা আবাসিক ভবন, ১টি পাম্প হাউস, ২টি নিরাপত্তা কক্ষ, ১টি গণশৌচাগার, ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের ট্রাক পার্কিং, নদীতীরে ১টি গ্যাংওয়ে ও ১টি পন্টুন।
স’ানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তেরর সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে চলাচলের প্রধান সড়ক দুটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহিপুর বন্দর থেকে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র পর্যন্ত ১৪ ফুট প্রস’ আর ৮০০ মিটার আরসিসি ঢালাই সড়কের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৮
হাজার ৩৬৫ টাকা। কেন্দ্র থেকে পশ্চিম দিকে ১০ ফুট প্রসে’র ১ হাজার ১৫০ মিটার বিটুমিন ঢালাই সড়ক করা হবে। অপরদিকে আলীপুরে ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার ২৭০ টাকা ব্যায়ে ১০ ফূট প্রস’সহ ৪০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা হবে। থাকছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা। থাকবেনা কোন বরফ সংকট। বরফ ক্রয়ে থাকছে ৫০ শতাংশ মূল্য ছাড়। অবতরণ কেন্দ্র দুটির এসব সুবিধা পেতে আড়তদারদের ঘর ভাড়া দিতে হবে মাত্র দেড় হাজার টাকা।
এছাড়াও সরকারিভাবে মাছ কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান দুটিতে দুজন ব্যবস’াপক, একজন হিসাবরক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী এবং চারজন বরফকল অপারেটর নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি পুরোপুরি চালু হলে দুই অবতরণকেন্দ্রের জন্য ২০ জন করে ৪০ জন জনবল প্রয়োজন হবে।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক জামাল হোসেন মজুমদার সহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর, স’ানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স’ানীয় আ.লীগ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মন্ত্রী জেলার কলাপাড়ায় মৎস্য গবেষনা উপকেন্দ্রের নবর্নিমিত ভবনের উদ্ভোধন করেন।
জেআর/এমআর