ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ছাতক দোয়ারাবাজার চেলা নদীকে বালু মহালে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের প্রতিবাদে বালু উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা করেছে শ্রমিকরা। ১৬ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। বালু উত্তোলন বন্ধের ঘোষণার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শ্রমিকরা বালু উত্তোলনে প্রতি ঘনফুটে কত টাকা ইজারা প্রদান করবে, এ বিষয়ে সরকার নির্ধারিত কোন রেইট না থাকায় বর্তমানে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, ছাতকে বালু উত্তোলনে প্রায় ২০ হাজার বালু উত্তোলনকারী শ্রমিক ও পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে চলতি ছাতকে ‘ফয়েজ এন্টারপ্রাইজ’ নামক প্রতিষ্ঠানকে বালু মহাল থেকে ইজারা গ্রহণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। পহেলা বৈশাখ থেকে ইজারাদার পক্ষ বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতি ঘনফুট বালু উত্তোলনে ইজারা বাবদ দেড় টাকা পরিশোধ করে আসছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ইজারাদার পক্ষ নদীতে মাইকিং করে মহাল থেকে প্রতি ঘণফুট বালু উত্তোলনে ৩ টাকা র্যয়েলিটি আদায়ের ঘোষণা দেন। একাধিক শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের উপর ইজারাদার আবারো জুলুম অত্যচার শুরু করেছে। বালু মহাল থেকে বালু সংগ্রহে একটি নৌকায় ১০ জন শ্রমিক সমপরিমান বালতি, টুকরি, বেলচা দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলনের পর ৩ টাকা র্যয়েলিটি দিলে সকল খরচের পর বালু বিক্রি করে লাভ করা বড়ই কষ্টসাধ্য। তাই আমরা বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ছাতক বাজার একতা বালু উত্তোলন ও সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি বাবলু হোসেন শাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, বালু মহালে অতিরিক্ত র্যয়েলিটি ঘোষণার পরই বালু উত্তোলনকারী শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও নৌকা মালিকরা এক জরুরী বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা করা হয়।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বালু উত্তোলনে প্রতি ঘনফুটে সুনির্দিষ্ট করে ইজারা প্রদানে সরকার নির্ধারিত কোন রেইট না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ইজারদার ও বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকরা দু’পক্ষই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
এএমএল/এমআর