মানিকা তহসিল অফিস-চরফ্যাশনে জমির খাজনায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » মানিকা তহসিল অফিস-চরফ্যাশনে জমির খাজনায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ
বুধবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০২১


চরফ্যাশনে জমির খাজনায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরমানিকা মৌজার ১৫/১৬ সালে বন্দোবস্ত নেয়া সাড়ে ৪একর জমির খাজনা বাবদ ৩০টাকা করে ৩টি রশিদে ভূমি উন্নয়ন কর ৯০টাকা নির্ধারিত হলেও ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহজাহান বেপারীর স্ত্রী জমি মালিক আঞ্জুমান আরা (৬০) কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৪হাজার টাকা। মঙ্গলবার (৩১আগস্ট) বিকেলে চরফ্যাশন ভূমি অফিসের সামনে আঞ্জুমান আরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সাড়ে ৪একর জমির ৩০ টাকা করে মোট ৯০ টাকার খাজনা পরিশোধে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী অফিসার মারুফ হোসেনকে ৪হাজার টাকা দিয়েছি। রশিদে ৩০ টাকা করে লিখা থাকলেও খাজনা পরিশোধে তিনি সারাদিন অনলাইনে কাজ করেছেন যার জন্য এ টাকা দিতে হয়েছে। ওই নারীর সঙ্গে থাকা তাঁর এক নাতি বলেন, দুপুরে তিনি (মারুফ হোসেন) চরফ্যাশন ভূমি অফিসে এসে আমাদের ওই টাকা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন। এবং বিষয়টি মিমাংশা করতে চেয়ে আমাদের একটি কক্ষে ডেকে নেন।
এদিকে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ফারুক হাওলাদারের ছেলে ভূক্তভোগী মিজানুর রহমান (২২) বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পরে ৪১ শতাং পৈত্রিক জমির খাজনা পরিশোধ করতে গেলে উপ-সহকারী অফিসার মারুফ হোসেন প্রায় সাড়ে ৩মাস পূর্বে ৪৫০ টাকার খাজনা ৫হাজার টাকা কম গ্রহন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আমি ছাত্র মানুষ তাৎখনিক এতো টাকা কোথায় পাবো। পরে আমার সম্পর্কিত নানার কাছ থেকে ১৫শ টাকা হাওলাত (ঋণ) নিয়ে মোট ৩ হাজার টাকা দিয়েছি এ উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে।
এছাড়াও ওইঅফিসের মামুন নামের একজন কর্মচারিকেও ২শ টাকা দিতে বলেন মারুফ। তাকেও তখন ২শ টাকা দেই। চর মানিকা ইউনিয়নের একাধীক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুন মাসে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি মারুফ হোসেনের অনিয়ম,ঘুষ বানিজ্জ্য ও দূর্নিতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাঁর প্রত্যাহারের দাবিতে একটি মানববন্ধন করেন। এবং বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন পত্র তুলে দেন।
এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ভূমি উন্নয়ন উপ-সহকারি কর্মকর্তা বলেন, না এরকম কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো. আবি আবদুল্লাহ খান বলেন, আমি একটি বিষয় তদন্তে আসলামপুর রয়েছি। আপনি অফিসে আসেন তার পর কথা হবে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩১:২৬ ● ৬৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ