আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া খালের উপর সাতধারা নামক স্থানের লোহার সেতুটি সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেতুটি পারপার হচ্ছে। দ্রুত সেতুুটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আড়পাঙ্গাশিয়া খালের উপর সাতধারা নামক স্থানে লোহার সেতু নির্মাণ করে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ওই সেতুর ব্যয় ধরা হয় ৪৬ লক্ষ টাকা। গত ১৮ বছরে সেতুটি সংস্কারের অভাবে মানুষ চলাচলে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ওই সেতু দিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী সাতধারা,ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পাতাকাটা, পুর্ব আড়পাঙ্গাশিয়া ও হুমা গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ এবং দক্ষিণ আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সেতুটির সিমেন্টের স্লাবগুলো ধসে খালে পরে যাওয়ায় অনেক যায়গা ফাঁকা হয়ে গেছে। স্লাবের সিমেন্টের ঢালাই ধসে পরায় রড বেড়িয়ে পরেছে। এ অবস্থায় ফাঁকা স্থানে আড়াআড়ি ভাবে স্লাব দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে পার হচ্ছে। সেতুর দু’পাশের লোহার রেলিংএ মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। নড়বরে সেতুতে মানুষ উঠলে দোলে। এ অবস্থায় সেতু ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনা পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, সেতুটির বিম নড়বরে। স্লাব খুলে খালে পড়ে আছে। স্লাব না থাকায় সেতুর অনেক স্থান ফাঁকা। আড়াআড়ি ভাবে স্লাব দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সাতধারা গ্রামের মিনারা বেগম বলেন, সেতুটি দিয়্যা পার অইতে ডর হরে।
সাতধারা গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, সেতুটির অবস্থা খুব খারাপ । স্লাব ধসে পরে অনেক জায়গায় ফাঁকা হয়ে গেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হয়।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, নড়বসে সেতু দিয়ে মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। ওই স্থানে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করা জরুরী।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, দক্ষিণ আমতলী ও সাতধারা নামক স্থানের আড়পাঙ্গাশিয়া খালের ওপর দুই ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আড়পাঙ্গাশিয়া খালের সাতধারা নামক স্থানে গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রকল্প দেয়া হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর