কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম (২২) কে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পিতা মো. নাছির উদ্দিন মাতুব্বর। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দল থেকে বহিস্কার না করলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনশন পালনের ঘোষণা দেন তিনি। এসময় রাকিবুলের মা রাহিমা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার পুত্রকে গত ২৮ জুলাই রাতে কলাপাড়ার তেগাছিয়া বাজার সংলগ্ন আজিমুদ্দিন স্লুইস গেট এলাকায় ফেলে নৃশংশভাবে কুপিয়ে জখম করার পর ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এরপর ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৭ আগস্ট ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবুল মারা যায়। কিন্তু এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও মূল অভিযুক্তরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো অভিযুক্ত মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম রায়হানের পিতা ফারুক পাহোলান আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। একই সাথে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রাকিবুলকে হত্যার ঘটনায় কলাপাড়ার একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত। গত ২৯ জুলাই কলাপাড়ায় থানায় রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছিলেন তাতে বাদ পড়েছে অনেক আসামী। তাই গত ২৫ আগস্ট আমি কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। এ মামলায় পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদার, কলাপাড়া পৌর শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রকি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার, কলাপাড়ার সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হিরন, মো. মুসাসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করি। প্রধান আসামী মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম রায়হান। পুলিশ এ ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড রুবেল সিকদারসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের তিনদিনের রিমান্ডেও আনে পুলিশ, তবুও তেমন অগ্রগতি নেই। কিন্তু এখন মূল আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।’
তার দাবি, আগামী সাত দিনের মধ্যে রাকিবুল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে পরিবার নিয়ে গণঅনশন করা হবে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে রাকিবুল হত্যায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।