নেছারাবাদে নদী ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে নদী ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
মঙ্গলবার ● ২৪ আগস্ট ২০২১


নেছারাবাদে নদীর ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নেছারাবাদ ও বানারীপাড়ার উপজেলার বিস্তীর্ন জনপথ। পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে দুই উপজেলার মানচিত্র। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্য রাতের বাতাস ভারী হয়ে যায় সর্বহারা মানুষের আর্তনাদে। নদী ভাঙনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও জনসাধারন নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শনের জন্য মানববন্ধন করেছে বেশ কয়েকবার। মাঝে মধ্যে ভাঙন রোধের জন্য বালু ভরাটের বাজেট হলেও থামানো যাচ্ছেনা সন্ধ্যা নদীর ভাঙন।
মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) সকালে ভাঙন কবলিত নদী তীরে বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বিহারীলাল একাডেমী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। নদী ভাঙন থেকে বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ করে। ওই মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, বিহারীলাল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুবুর রহমান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ। উল্লেখ্য ইলুহার ইউনিনের সন্ধ্যা নদীর দক্ষিন সীমানায় নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের একটি গ্রাম ছিল। যা এখন ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। ওই এলাকায় কুনিয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ছিল। দু বছর আগে তা সন্ধ্যা গহ্বরে বিলীন হয়ে গেছে। ওই দু’ই উপজেলার সন্ধ্যা নদীর অভ্যহত ভাংনে নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার, বাররা, কুনিয়ারী, কৌড়িখাড়া, গনমান, মুনিনাগ, জলাবাড়ী, সেহাংগল গ্রাম এবং বানারীপাড়ার উপজেলার ইলুহার, বাইশারী, দাশেরহাট, ডান্ডোয়াট, ধানহাটখোলা, শিয়ালকাঠী, বাংলাবাজার, নলেশ্রী, মসজিদবাড়ী, দাসেরহাট, কালিরবাজার, চাউলাকাঠি, বাসার, গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন দিশেহারা। অপরদিকে সন্ধ্যা নদী থেকে এক শ্রেনীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন ও সন্ধ্যা নদীর তীর থেকে মাটি কাটায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙন বেড়েই চলছে।
জানাগেছে এ জনপদের বালু ব্যবসায়ীরা নিয়ম বর্হিভূত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পথ পাল্টে নদীর দুই পাড়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। ক্ষমতাসীন দলের কিছু সংখ্যক নেতাদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নদীর ইজারা বর্হিভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে নদীর তলদেশে ফাটল সৃষ্টি হয়ে নদীর তীর ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে।। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন রোধে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ না থাকায় তাদের হতাশা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় তারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত কয়েকটি স্থানে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপর দিকে নেছারাবাদে মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের হস্তক্ষেপেও তার নেওয়া প্রকল্পের অধিনে জিও টেক্স ব্যাগ ফালানো হচ্ছে।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৪:১২ ● ৩৬৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ