কলাপাড়া-তারিকাটা সড়কের বেহাল দশা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়া-তারিকাটা সড়কের বেহাল দশা!
রবিবার ● ৮ আগস্ট ২০২১


কলাপাড়া-তারিকাটা সড়কের বেহাল দশা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া তারিকাটা নয় কিলোমটিার সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। পাঁকা এই সড়কে এখন যানবাহন চলাচলের উপযোগিতা নেই। হেঁটে চলাচল করাও যায় না। এলইজইডির নির্মিত এ সড়কটি বছরখানেক আগে মেরামত করা হলেও এখন সিলকোট উঠে খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। মানুষের দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই সড়কটির নিশানবাড়িয়া, বাইনবুনিয়া, চৌকিদার বাড়ির মোড়, দ্বিত্তা স্কুলের মোড়, গামুরিবুনিয়া স্কুলের মোড় এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এসব স্থানে সড়কের সিলকোট উঠে গেছে। গর্ত হয়ে কাঁদা-পানি জমে থাকছে। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে সড়কের ইট-বালু, পিচ উঠে গিয়ে কাদা মাটি বেরিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার এ সড়কটি এখন আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কারণ এ সড়কে আমতলী-তালতলী উপজেলায় যাতায়াত করা যায়। অথচ সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কারও দায় নেই। অটো চালক মোঃ মোস্তফা জানান, প্রতিদিন কয়েকশ যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, পিক আপ, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এ সড়কে চলাচল করে। যাত্রী নিয়ে ঠিকমতো চালাতে পারেন না। রাস্তার গর্তে পড়ে গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। তা ছাড়া সড়কে চলতে গিয়ে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়। অহরহ উল্টে পড়ছে যানবাহন।
স্কুল শিক্ষক মোঃ শাহীন, কৃষক সাইদুল খান, ফারুক হাওলাদার জানালেন, গত সাতদিনে সড়কটির বাইনবুনিয়া গ্রাম এলাকায় ভাঙা অংশে অন্তত ২০টি পণ্যবাহি কাভার্ড ভ্যান ও পিক আপ আটকে ছিল। গ্রামের লোকজনের সহায়তায় এসব পরিবহনকে গর্ত থেকে তুলে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, তালতলী উপজেলার তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজের জন্য সব ধরণের মালামাল পরিবহন করা হয় এ সড়ক পথে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইটভাটির ইট বোঝাই ছয় চাকার ট্রলি এ সড়কে চলাচল করে সড়কটির সর্বনাশ করেছে। এখন চরম বেহাল দশা হয়েছে। চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবীর কেরামত জানান, সড়কটির দুরাবস্থার কথা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরকে বহুবার বলেছেন। উপজেলা পরিষদের সভায় তুলে ধরে জরুরী মেরামত করার জন্য বলেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সড়কটির মেরামত করা হয়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মহর আলী জানান, সড়কটির বেহাল দশা দেখেছেন। আপাতত তিন দশমিক ৯৩০ মিটার ভাঙা অংশের মেরামত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৫২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪২০ টাকা। পরে বাকি অংশ মেরামত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২০:০৩ ● ৫১০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ