ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্ম নেওয়া জিয়া পঁচাত্তরের ট্রাজেডির পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বিএনপি গঠন করেন। ১৯৮১ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। দলকে ক্ষমতায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা বরাবর দিনটিতে জিয়া কবরে ফুল দিতে গেলেও দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিনি কারাগারে থাকায় শনিবার তাকে ছাড়াই জিয়ার সমাধিতে যান বিএনপি নেতারা। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে ফুল দেওয়ার পর মোনাজাত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, শাহজাহান ওমর, রুহুল আলম চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, ফরহাদ হালিম ডোনার, একেএম আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, দেওয়ান সালাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুল ইসলাম আলিম, হারুনুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শাহ নেসারুল হক, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান। বিএনপি ছাড়াও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ড্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, শ্রমিক দল, ছাত্র দল, ওলামা দল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ফুল দেওয়া হয়।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। দ্বিতীয় দিনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড্যাব আয়োজিত ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ উদ্বোধন করেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে শুরু হয়। চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। চিকিৎসাসেবায় ছিল মেডিসিন, সার্জারি, চর্মরোগ, চোখ, নাক-কান-গলা ও শিশু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক চিকিৎসায় দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রহসন ও ভোট ডাকাতির যে নির্বাচন হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। পুনরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই এদেশের মুক্তি আসতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সচলাবস্থা তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে, বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে বাংলাদেশ নির্মাণের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান তাকে বিভিন্নভাবে খাটো করার চেষ্টা করা হয়। তার অসমাপ্ত কাজ যিনি সম্পন্ন করেছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, আজকে সেই নেত্রী কারাগারে। তারা দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছেন এই ভয়ে যে, দেশনেত্রী বাইরে থাকলে তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। ড্যাবের সভাপতি একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের মহাসচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রফেসর ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
এফএন/এনইউবি