করোনা প্রতিরোধে- কুয়াকাটায় সাশ্রয়ী প্রতিষেধক আবিস্কারের দাবি উদ্ভাবকের

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » করোনা প্রতিরোধে- কুয়াকাটায় সাশ্রয়ী প্রতিষেধক আবিস্কারের দাবি উদ্ভাবকের
বুধবার ● ৪ আগস্ট ২০২১


কুয়াকাটায় সাশ্রয়ী প্রতিষেধক আবিস্কারের দাবি উদ্ভাবকের

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥

বিশ^ব্যাপি মৃত্যুঝুঁকির চলমান আতঙ্কের নাম ‘করোনা’ ভাইরাস। এই করোনা প্রতিরোধে বিগত একবছর আগেই মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেইটসকে পরামর্শমূলক একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কুয়াকাটার হাসনুল ইকবাল। সেটি অন্যের আইডিয়া বলে চালানোর পর নতুন করে আরও একটি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আবিস্কারের দাবি কুয়াকাটার এই গবেষকের।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিল গেইটসের স্ট্যাটাসের জবাবে প্রস্তাবনা তুলে ধরার বছর খানেক পরে ওই প্রস্তাবনার আদলে একইরকম ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে সফল হন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ড প্রবাসী সাদিয়া খানম। বর্তমানে কুয়াকাটার ব্যবসায়ী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থীর দাবি, বিল গেইট্সকে দেওয়া তাঁর ওই প্রস্তাবনায় করোনা প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক রুমওয়াইজ ভ্যাপার সিন্টেম চালুর পরামর্শই সাদিয়া খানম নিজের বলে চালিয়েছেন। নানা সংবাদমাধ্যমে সাদিয়া খানমের সাফল্যের খবরটি তিনি দেখতে পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিল গেইটসকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান।
হাসনুল ইকবাল বলেন, ওই প্রস্তাবনায় নতুন দু’টি থিউরি কার্যকর করা হলে হতে পারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে সাশ্রয়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা। তিনি দাবি করেন, বৃটিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। বৃটিশ পাপেলবন্ড নামের একটি কোম্পানী তার সাথে যোগাযোগ করে এবিষয়ে কাজ করতে আগ্রহও দেখিয়েছেন।
কুয়াকাটা ইনভেস্টরস ফোরামের মুখপত্র হাসনুল ইকবাল জানান, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস দেখা দিলে মাইক্রোসফ্টের কর্নধার বিল গেইটস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংটিনে বিশ্ববাসীর কাছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে আইডিয়া শেয়ার করার জন্য আহবান জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। লিংটিনে বিল গেইটসের স্ট্যাটাস পেয়ে এন্টিবায়োটিক রুমওয়াইজ ভ্যাপার সিন্টেম আইডিয়া শেয়ার করেন কুয়াকাটার হাসনুল ইকবাল। এর এক বছর পরে হুবহু প্রস্তাবনা করে ইংল্যান্ড প্রবাসী সাদিয়া খানম সফল হন। ইতোমধ্যে ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসেস অব ইংল্যান্ড (এনএইচএসই) যার স্বীকৃতি দিয়েছে।
হাসনুল ইকবালের মতে, লিংটিনে দেড় বছর আগে দেয়া তাঁর আইডিয়া কপি করে দীর্ঘদিন ধরে সাদিয়া খানম কাজ করে সেটিই নিজের বলে চালিয়েছেন। তবে এতে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন সাদিয়া খানমকে। হাসনুল ইকবাল বলেন, আমি বিষয়টি ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাকে লিখিত ভাবে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। পরবর্তীতে ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসেস অব ইংল্যান্ড (এনএইচএসই) পুরো বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে অনার্স করে হাসনুল ইকবাল বিদেশে পাড়ি জমান। প্রথমে সুইডেন এবং পরে ইংল্যান্ডে ছিলেন। দীর্ঘ বছর চাকুরী শেষে দেশে ফিরে এসে পর্যটনে বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এগ্রি ফর নেক্সট সিভিলাইজেশন (এনএসসি)’ এর ব্যানারে বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা করতে থাকেন। করোনা ভাইরাস বিশ^ব্যপি ছড়াতে শুরু করলে তিনি এটির প্রতিষেধকসহ মানবদেহে প্রবেশ ঠেকাতে গবেষণা চালান। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ ঠেকাতে হাসনুল ইকবালের দ্বিতীয় উদ্ভাবন ৫৭ গ্যালন পানিতে তিন ড্রোপ ফরমালিন (টুএমএমপি%) ব্যবহার করে চুইংগাম পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। তার দাবি, এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তিনি জানান, বিষয়টি অ্যামেরিকান নাসা, জাপান ও ইংল্যান্ডকে এমন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড ভিত্তিক ‘পাপেলবন্ড’ কোম্পানী বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন এবং তাঁর সাথে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি হাসনুল ইকবালের। এই গবেষক বলেন, বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ, সম্প্রতি করেনা প্রতিরোধে নেওয়া এদেশে লকডাউন কোন সমাধান নয়। এতে দেশকে অতিদরিদ্র করে তুলবে। এর বিকল্প হিসেবে তিনি টুএমএমপি% ফরমালিন চুইংগাম পদ্ধতি মানবদেহে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম হবে।

এনইউবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৪:১৭ ● ৮৫৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ