বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টর নির্মাণ করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টর নির্মাণ করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী
মঙ্গলবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


সংসদে এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে সারা দেশে রেইন ওয়াটার হারভেস্টর নির্মাণ করা হবে।
তিনি মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদে বিরোধীদলের মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ‘অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টর এবং ‘পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর বা দিঘি বা জলাশয়সমূহ পুনঃখনন বা সংস্কার’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাব, নির্মাণ ব্যয়সহ কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণের বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রামের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে- ঢালাইয়ের পরে কিউরিংয়ের জন্য রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা, প্রতি কিলোমিটার কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের খরচ বিটুমিনাসের তুলনায় দুই থেকে আড়াইগুণ বেশি ও কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের পাথর আমদানিনির্ভর। বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে বিগত বছর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন বিগত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যিনি নতুন সরকারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন। সে সময় তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, এ ধরনের রাস্তা তৈরির ব্যয় বেশি হলেও টেকসই হওয়ায় খরচ পুষিয়ে যাবে।
ঝিনাইদহের আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ শতাংশ জনগণ নিরাপদ পানি সুবিধার আওতাভুক্ত। এ হিসেবে ১৩ কোটি ৯২ লাখ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করে থাকে। এছাড়া দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ মৌলিক স্যানিটেশনের আওতাভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ উন্নত, ২৮ শতাংশ জনগণ যৌথ ও ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন। ঢাকা-৭ আসনের হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সমবায় অধিদপ্তরে নিবন্ধিত বিত্তহীন সমবায় সমিতির সংখ্যা ২৮ হাজার ১৭৬টি।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২১:২৬ ● ৪৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ