কলাপাড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ
রবিবার ● ২৫ জুলাই ২০২১


কলাপাড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামকে সবজি খ্যাত হিসাবে গোটা উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছে। এ বছর নতুন ভাবে মিনি গ্রীন হাউস ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে কৃষকরা। ওই গ্রামের সফল কৃষক জাকির হোসেন গাজীর  চিন্তাধারা সমাজের বেকারত্ব ও যুবসমাজকে কৃষির আওতায় অর্ন্তভূুক্ত করা। তার রয়েছে সবজির উপরের নানাবীদ স্বপ্ন। দেশ বিদেশী বিভিন্ন উন্নতশীল বীজ সংগ্রহ করে এলাকায় রোপন করে সফলতার ছোয়া পেয়েছেন তিনি।তার সফলতা দেখে কুমিরমারা গ্রামের বেশ কিছু কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়,সবজি ক্ষেতে আধুনিক পদ্ধতিতে লাউ,শসা,করোলা,বোম্বে মরিচ,পেপে,কাঁচা মরিচ,লাফা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটো সহ নানা প্রজাতীর সবজি চাষ করেছেন জাকির হোসেন। এবং বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় বিভিন্ন কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ মিনি গ্রীন হাঊস ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কৃষক জাকির হোসেন গাজী জানান,আমি এক সময় রাজমিস্ত্রী ছিলাম সেখান থেকে এসে গত পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করে আসছি। এবছর আমি ৬ বিঘা জমিতে  বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করতে খরচ হয় পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। কুমিরমারা গ্রামে আমি প্রথম আধুনিক কৃষির সৃষ্টি করি এবং স্থানীয় কৃষকদের আধুনিক ভাবে কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দেই। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অনেক ভাল ফসলের আশা করি।
কৃষক মো ঃ ওমর ফারুক জানান, কলাপাড়া উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে আমাদের সবজি বিক্রি হয়। বাজার জাত করার জন্য যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকার কারনে সবজির ন্যায্যো মূল্য পাইনা,সরকারি ভাবে আমরা আর্থীক সহযোগীতা পেলে  ব্যাপক আকারে সবজি চাষ করতে পারবো বলে আশাকরি।
এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ জানান, শুধু কুমিরমারা নয় কলাপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃষকদের আধুনিক ট্রেনিং দিয়ে সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করবো।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৫:৪৪ ● ৭৮৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ