আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে সরকারীভাবে নিষিদ্ধ দুই লক্ষ টাকার পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জব্দকৃত ওই পলিথিন হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক পুড়িয়ে ফেলেন। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী মামুন খাঁনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের আতাহার খাঁনের ছেলে মামুন খাঁন গত ৫ বছর ধরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সরকারীভাবে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসছে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের পলিথিনের ডিলার। অবৈধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসলেও গত ৫ বছর ধরে তিনি ছিলেন ধরা ছোয়ার বাইরে। বুধবার দিবাগত রাতে একটি ট্রাকে করে অন্তত ২০ লক্ষ টাকার পলিথিন আনেন মামুন খাঁন। ওই পলিথিন তিনি উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের তার শ^শুর আলম হাওলাদার বাড়ীসহ ওই এলাকায় লুকিয়ে রাখেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিককে খবর দেয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় জনতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী মামুন খাঁনের শ^শুর আলম হাওলাদারের ঘর থেকে দুই লক্ষ টাকার ২০ বস্তা পলিথিন জব্দ করেন। পরে চেয়ারম্যান ওই পলিথিন পুড়িয়ে ফেলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মামুন খাঁন ও তার লোকজন অবশিষ্ট পলিথিন অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ইউপি সদস্য কালু মৃধা ও গ্রাম পুলিশ দুধা হাওলাদার, বাহাদুর তালুকদার, আমির হোসেন মৃধা ও জসিম সিকদার বলেন, মামুন খান গত ৫ বছর ধরে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসছেন। প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বুধবার রাতে মামুন খাঁন এক ট্রাক পলিথিন এনে তার শ^শুর আলম হাওলাদারের বাড়ীসহ এলাকায় লুকিয়ে রাখেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শ^শুরের ঘর থেকে ২০ বস্তা পলিথিন জব্দ করেছি। তারা আরো বলেন, মামুন খান দক্ষিণাঞ্চলের অবৈধ পলিথিনের ডিলার। দক্ষিনাঞ্চলের সর্বত্র তিনি পলিথিন সরবরাহ করে আসছেন। অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী মামুন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা অবৈধ পলিথিনে মালামাল ভরে ক্রেতাদের দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুদি মনোহরদি ব্যবসায়ী বলেন, মামুন খাঁন নামের এক পলিথিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পলিথিন ক্রয় করেছি।
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী মামুন খাঁন পলিথিন সরিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, দুই লক্ষ টাকার পলিথিন ইউপি চেয়ারম্যান পুড়িয়ে ফেলেছেন।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী মোঃ মামুন খাঁনের শ^শুর আলম হাওলাদারের বাড়ী থেকে ২০ বস্তা পলিথিন জব্দ করা হয়। ওই পলিথিন স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলেছি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর