বাউফলে মৃত্যু ব্যক্তির নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » বাউফলে মৃত্যু ব্যক্তির নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা
মঙ্গলবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী ছবি
সাগরকন্যা বাউফল প্রতিনিধি ॥
বাউফলে মো. আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার ৫ মাস পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দিয়েছে আদালত। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বাউফল থানা পুলিশ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির ককা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃত আবুল হোসেন খান এবং তাঁর অপর ভাই মো. খলিলুর রহমানকে আসামি করে তাদের ভগ্নিপতি মো. জসিম মৃধা ২০১৭ সালে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং, সি আর-৪৭৫/২০১৭)। আদালত অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খাঁনকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আবুল হোসেন খাঁন মারা যাওয়ার ৪ মাস পর ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন খাঁন। ওই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন বাদীর মানিত সাক্ষী এবং পাশ্ববর্তী লোকজনের সাথে কথা বলে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিবেদনের কোথাও আসামি মো. আবুল হোসেনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেননি। ওই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গ্রেপ্তারী পরোয়না জারি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনার মৃত আবুল হোসেনের ছোট ভাই উপজেলার কালিশুরী ডিত্রি কলেজের শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, একটি মিথ্যা এবং সাজানো মামলায় কোনো ধরণের তদন্ত ছাড়াই আমার এবং আমার মৃত্যু ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন খাঁন। যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।

এ বিষয়ে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন খাঁনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বাদী আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং বিবাদীগণ আমার পার্শ্ববর্তী মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীগণের মধ্যে উপস্থিত সাক্ষীদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে আমি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। কিন্তু আসামি মো. আবুল হোসেন মারা গেছেন এই বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। তাই এই ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হয়েছে।

এপি/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৯:১৮ ● ৪৪৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ