নাজিরপুরে ভাসমান সব্জি চাষে বিপর্যয়

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নাজিরপুরে ভাসমান সব্জি চাষে বিপর্যয়
শনিবার ● ১৭ জুলাই ২০২১


নাজিরপুরে ভাসমান সব্জি চাষে বিপর্যয়

নাজিরপুর(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বিলাঞ্চল দেউলবাড়ী দোবরা, কলারদোয়ানিয়া, মালিখালি, পদ্মডুবি, মনোহরপুর, বেলুয়া, মুগারজোর, বির্স্তীন জলাভূমিতে এলাকার সব্জি চাষীরা প্রাকৃতিক বির্পযায়ের মুখে পড়ে তারা এখন ভাল নেই। একদিকে লবনাক্ত পানি অপরদিকে বেশীর ভাগ জলাভুমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় অর্ধ বছর ধরে জমিতে পানি জমে থাকে। নানা প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে ১৫০ বছর ধরে বিকল্প পদ্ধতিতে কচুরীপানার বেড তৈরী করে কৃষি সব্জি উৎপাদন করে আসছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ ব্যতিক্রমি উদ্ভাবন ভাসমান বিরল কৃষি পদ্ধতি আজ দেশ ছড়িয়ে বিদেশে ও সুনাম অর্জন করেছে।
জলাভূমির এক সময়কার অন্যনোপায় বাসিন্দারা আপন মনে এ কৃষি কৌশল অবলম্বন করে দারিদ্র জয়ের পাশাপাশি নিজেরা সাবলম্ভি হয়েছে। অপর দিকে দেশের এরূপ জলাবদ্ধ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পথ দেখিয়েছেন। প্রাকৃতিক বির্পযায়ের কারনে এ বছর অনেক কৃষকই আশানুরূপ কৃষি সব্জি ফলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা ২০১৫ সালে ভাসমান পদ্ধতির সব্জি চাষকে বিশ্ব ঐতিহ্যভুক্ত করে গে¬াবালি ইনটেক্ট এগ্রিকালচার হেরিটেজ সিস্টেম বলে অভিহিত করেছে। চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর নাজিরপুরের বিলাঞ্চলের ভাসমান সব্জি চাষীরা তেমন ভাল অবস্থায় নেই। তারা এ দুরাবস্থা থেকে উর্ত্তীন হওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রনোদনা পাওয়ার এবং উৎপাদিত কৃষিপন্য পচঁন থেকে রক্ষা করার জন্য একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের দাবী জানান।
এব্যাপারে কৃষক কুদ্দুস হাওলাদার জানান, তার বার্ষিক আয়ের প্রধান উৎস ভাসমান প্রক্রিয়ায় সব্জি চাষ। এ অঞ্চলের এরূপ বিরল ও ব্যতিক্রমি চাষ পদ্ধতির তিনি একজন পথিকৃত। কৃষক আল-আমীন জানান, ব্যপক সম্ভাবনাময় এ কৃষি শিল্প রক্ষায় সরকারী প্রনোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো সুদবিহীন ঋন সুবিধা দিলে কৃষকরা ভাসমান বেডে সব্জি চাষে বিপ¬ব সৃষ্টি করতে পারবে। নাজিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগবিজয় হাজরা জানান, উপজেলার প্রায় ১৭০ একর জলাভূমিতে এ ভাসমান সব্জি চাষ হয়। প্রায় ১২ হাজার লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ চাষে জড়িত রয়েছে। তিনি কৃষকদের প্রশিক্ষন, সার, বীজ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। এ খাত থেকে বছরে সরকারের প্রায় এক কোটি টাকা আয় হয়্। তিনি আরো জানান, কৃষকদের পক্ষ থেকে কোল্ড স্টোরেজ নির্মানের জন্য লিখিত আবেদন করা হলে সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দেবার চেষ্টা করবো।

এএএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৩:৩৯ ● ২৬৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ