দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরীঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় একদোকানীকে মারধরের জেরে দু’পক্ষের হামলা-মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত: ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী ৭জনকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলা সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাজায়, শুক্রবার সকালে ঢাকা ফেরত পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে লেবুখালী ফেরীঘাটে স্বাগত জানাতে জেলা শহর ও বাউফল থেকে বাদল, কোয়েল, মিঠু, সেলিমের নেতৃত্বে দু’শতাধিক কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ফেরীঘাটে অবস্থান নেয়। সমবেত কর্মী-সমর্থকরা বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘাটে অবস্থান কালে বিভিন্ন দোকান-পাটে চা-সিগারেট পান ও জটলা করছিল। ওই সময় বাদল নামের উচ্ছৃঙ্খল যুবক সিগারেট ধরাতে ম্যাজলাইট নিয়ে উত্যপ্তবাক্য বিনিময় ও চা-দোকানী সোহরাব প্যাদাকে মারধর করলে পাশর্^বর্তি দোকান্দার ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে তীব্র উত্তেজনা, দফায় দফায় হামলা সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আহত দোকানী সোহরাব প্যাদার অভিযোগ, আ’লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থকরা চাকু-চাপাতিসহ ধারাল অস্ত্র বের করে এলোপাথারি কুপিয়ে, পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ি ও স্থানীয়দের জখম করেছে। এতে তিনি (চা দোকানী সোহরাব প্যাদা (৬৫), মোঃ সাবু (২৫), বজলু প্যাদা (৪৫), রাজিব (২২), বাহার খা (৩০), মোহন শরীফ (২০), আলকাচ মাষ্টার (৫৫), আল-আমীন (৩০)সহ উভয় পক্ষের অন্তত: ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী বজলু প্যাদাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ হামলাকারীদের চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি ।
দুমকি থানার এসআই সিদ্দিক জানান, লেবুখালী ফেরীঘাটে দু’পক্ষের হামলা-সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছেন এবং শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত ৪টি মোটসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের দাবি, জেলা শহরের উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা-সহিংসার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এতে বাউফলের কোন নেতা-কর্মীরা জড়িত নয়।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, ফেরীঘাটের ব্যবসায়ি ও স্থানীয়দের সাথে আ’লীগের শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমআর