গোপালগঞ্জে ২হাজার ১৩হতদরিদ্র পরিবার পেল স্বপ্নের ঠিকানা

প্রথম পাতা » ঢাকা » গোপালগঞ্জে ২হাজার ১৩হতদরিদ্র পরিবার পেল স্বপ্নের ঠিকানা
সোমবার ● ১২ জুলাই ২০২১


গোপালগঞ্জে ২হাজার ১৩হতদরিদ্র পরিবার পেল স্বপ্নের ঠিকানা

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মুজিববর্ষ  উপলক্ষে গোপালগঞ্জের ২হাজার ১৩হতদরিদ্র পরিবার (যাদের জমি ও ঘর নেই) পেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেওয়া উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের স্বপ্নের ঠিকানা । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  উপহার ঘর পেয়ে তার জন্য দোয়া করছেন সুবিধাভোগী হতদরিদ্ররা।
ঘরের নির্মান ও গুনাগত মান তদারকি করছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। কথা বলছেন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী মানুষের সাথে। তাদের কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করে দিচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ২ হাজার ১৩টি ঘর দেওয়া হয়েছে। জেলায় ১৪শত ৩৩টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ঘরের চাবি সুবিধাভোগীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ৪শত ২৬টি ঘরের নির্মান কাজ ও ১শত ৪৬টি ঘরের মাটি ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। মামলা সংক্লান্ত জটিলতার কারনে ৮টি ঘরের কাজ স্থগিত রয়েছে বলে জানান প্রকল্পের কর্মকর্তা।
সদর উপজেলার গুপিনাথপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র রেহানা বেগম ও আইয়ুব আলী শেখসহ অনেকে বলেন, আমাদের জমি ঘর কিছুই ছিল না। শেখ হাসিনা আমাদেরকে এখন জমি ঘর দুটিই দিছে। ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি।
উলপুর ইউনিয়নের মালেঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত কাকলী বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী । আমার একটা মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়ি কাজ করে খেতাম। জমি ঘর কিছুই ছিল না। আমি এখন জমি ঘর পেয়েছি। আমি খুব খুশি।
গুপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ আমিনুল হক লচ্চু বলেন, আমার ইউনিয়নে ৯০টি ঘর দেওয়া হয়েছে সুবিধাভোগীদের। আরও ১৪ নতুন করে দেওয়া হবে। ঘরের নির্মান কাজ চলছে, কাজ শেষ হলে সুবিধাভোগীদের কাছে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমার ইউনিয়নের ঘরের নির্মান কাজ ও গুনাগত মান অনেক ভাল।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন  বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৭৬১টি ঘর দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের এখনো কিছু ঘরের নির্মান কাজ শেষ না হওয়া ঘর সুবিধাভোদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। নির্মান কাজ শেষ হলে ঘরের চাবি সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের ঘরের গুনগত মান অনেক ভাল। জেলা ও উপজেলা অডিট কর্মকর্তারা সব সময় ঘরের  কাজ ও গুনগত মানের উপর তদারকি করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি দুর্যোগ বৃষ্টিতে উপজেলায় মধুপুর গ্রামে দুটি ঘরের আংশিক ভেঙ্গে পরেছিল।  ঘর দুটি আমারা দ্রুত মেরামত করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে বৃষ্টিতে আর ক্ষতি না হয় তার জন্য আমরা ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে এবং অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, কোন মানুষ নিরাশ্রায় না থাকে, কোন মানুষ রাস্তায় না থাকে, ভাষমান মানুষদের আবাসন দেওয়ার লক্ষে মুজিব শর্তবর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছিলেন মানুষকে আমরা আবাসনের ব্যবস্থা করবো। পর্যক্রম ভাবে সারা বাংলাদেশে এটা বাস্তাবয়ন হচ্ছে। সাথে সাথে আমাদের গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় ইতিমধ্যে আমরা ১৪ শত ৩৩ টি ঘর সম্পন্ন করেছি। সদর উপজেলায় ৭৬১টি ঘর প্রস্তুত হয়েছে বাকি ঘরগুলো প্রস্তুতের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে দেখছি ছবি আপলোড হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় ঘর ভেঙ্গে গেছে। যদি ঘরের কোন ট্রুটি থেকে থাকে বা হতেই পারে ট্রুটি একসাথে অনেকগুলো ঘর তৈরি হয়েছে। গোপালগঞ্জ নিচু জায়গা এখানে মাটিরও সল্পতা আছে, বালু ফেলতে হয়। কোথাও পানি জমে থাকলে পানি বেড় হবার সময় তখন বালুটাও সরে যায় । কোথাও কোন ট্রুটি থাকলে আমরা সাথে সাথে সেটা ঠিক করে দিব। কাজে কারও কোন গাফিলতি থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিব।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:৩৮ ● ৫৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ